‘ডিপিএলের উইকেটে বোলারদের জন্য কিছুই নেই’
ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে ব্যাটসম্যানদের ব্যাটে উঠছে প্রচুর রান। সেঞ্চুরির সংখ্যাও নেহাত কম নয়। বলা হচ্ছে, বোলারদের জন্য কিছুই রাখা হয়নি প্রিমিয়ার লিগের উইকেটগুলোতে। মিরপুরছাড়া অন্য উইকেটগুলোতে বোলাররা তেমন সুবিধাই করতে পারছে না। প্রিমিয়ার লিগে প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে খেলা জাতীয় দলের পেসার আল-আমিন হোসেন জানালেন এই উইকেটগুলো স্পোর্টিং নয়। বিশেষ করে ফতুল্লা এবং বিকেএসপির উইকেট ব্যাটসম্যানবান্ধব। সুতরাং, এই উইকেটে খেলে আমাদের লাভের চেয়ে ক্ষতিই হচ্ছে বেশি।
জাগো নিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে আল-আমিন হোসেন বলেন, ‘এই উইকেটে খেলে যে ব্যাটসম্যানটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সুযোগ পাবে, তার টিকে থাকাটা হবে বেশ কষ্টকর হবে। কারণ, উইকেটে বোলারদের জন্য কিছুই থাকছে না। ব্যাটসম্যানরা শুধু রান করেই যাচ্ছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি উইকেটগুলো আরও স্পোর্টিং হওয়া উচিৎ।’
ডিপিএলে নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে বলতে গিয়ে আল-আমিন বলেন, ‘৭ ম্যাচ খেলে ১৩ উইকেট পেয়েছি। স্লো ট্র্যাক অনেক। যখনই বোলিং করি, সব সময় দলকে সাহায্য করার চেষ্টা করছি; কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, আমার পারফর্মেন্স আরো ভালো হওয়া দরকার। ৭ ম্যাচে যদি ১৬-১৭টি উইকেট পেতাম তাহলে আরও ভালো লাগতো। এখানে ৪-৫টি উইকেট কম আছে। সব মিলিয়ে ভালোই চলছে। তবে আরো ভালো করা উচিত ছিল।’
ডিপিএলের উইকেটে পেসারদের জন্য কোন সহায়তা নেই জানিয়ে আল-আমিন বলেন, ‘আসলে এখন তো গরম অনেক। মিরপুরে খেলা হলে তেমন কোন সমস্যা হয় না; কিন্তু ফতুল্লা এবং বিকেএসপিতে উইকেটগুলো একদমই স্লো এবং ব্যাটসম্যান সহায়ক। এমনকি স্পিন সহায়কও না। আমার মনে হয়, এসব উইকেটে যদি ক্রিকেট খেলা হয় তাহলে এখান থেকে যে ব্যাটসম্যানটি বের হবে সে যদি আন্তর্জাতিকে সুযোগ পায় তাহলে তার টিকে থাকাটা কষ্টকর হবে।’
কেন ডিপিএলের উইকেটগুলো পেস সহায়ক হচ্ছে না? এ সম্পর্কে আল-আমিন বলেন, ‘এটা হয়তোবা আবহাওয়ার কারণেও হতে পারে। কারণ, এই গরমে পেস বোলিং উইকেট তৈরী করা একটু কষ্টকর। পেস বোলিং বলেন আর স্পিন বোলিং ট্র্যাক বলেন আমার মনে হয় স্পোর্টিং উইকেট হওয়া উচিত। বোলার যারা ভালো বোলিং করবে তারা সহায়তা পাবে, ব্যাটসম্যান যারা ভালো খেলতে পারবে তারা রান করতে পারবে।’
আইএইচএস/এবিএস