এই আইপিএলেই কোহলির চতুর্থ শতক
বিরাট কোহলি মানুষ নাকি ভিন কোনো গ্রহের প্রাণী? এতটা ধারাবাহিকও কেউ হয়। স্যার ডন ব্র্যাডম্যানও কি এতটা ধারাবাহিক ছিলেন? ব্যাট হাতে মাঠে নামছেন তো, একের পর এক সেঞ্চুরি হাঁকাচ্ছেন! এ যেন রূপকথাকেও হার মানিয়ে যাচ্ছে। কীভাবে সম্ভব!
এবারের আইপিএলে এ নিয়ে চারটি সেঞ্চুরি করে ফেললেন কোহলি। ব্যাট করছেন যেন ভিন কোনো গ্রহ থেকে নেমে এসে। গুজরাট লায়ন্সের বিপক্ষে এবি ডি ভিলিয়ার্সকে সঙ্গে নিয়ে করেছেন জোড়া সেঞ্চুরি। এবারো জোড়া সেঞ্চুুরি হয়ে যেতো, যদি ক্রিস গেইল ৭৩ রানে আউট হয়ে না যেতেন।
ইনিংসের ১৪তম ওভারে সন্দীপ শর্মাকে বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়েই দুই হাত মুষ্টিবদ্ধ করলেন। এরপর একহাতকে স্থির রেখে আরেক হাতে ঘুষি মারার ভঙ্গি করলেন চারবার। চারটি সেঞ্চুরির উদযাপন এমন নতুনভাবে না করলেই যেন নয়!
শেষ পর্যন্ত ৫০ বলে ১১৩ রান করে আউট হলেন বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বিধ্বংসী ব্যাটসম্যানটি। ৪৭ বলে পূরণ করা এই সেঞ্চুরিতে ১১টি বাউন্ডারি এবং ৭টি ছক্কার মার। শেষ পর্যন্ত মেরেছেন ১২টি ছক্কা এবং ৮টি বাউন্ডারি।
রাজকোটে গুজরাট লায়ন্সের বিপক্ষে সেঞ্চুরির সূচনা কোহলির। সেদিন ছিলেন ১০০ রানে অপরাজিত। যদিও সেদিন তার দল হেরে গিয়েছিল। তবে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে আন্তর্জাতিক আর ঘরোয়া মিলিয়ে ওটাই ছিল কোহলির প্রথম সেঞ্চুরি। এরপর পুনে সুপারজায়ান্টসের বিপক্ষে খেললেন অপরাজিত ১০৮ রানের ইনিংস।
এর দুই ম্যাচ পর গুজরাট লায়ন্সকে পেয়ে আবারো জ্বলে উঠলেন। ডি ভিলিয়ার্সসহ সেঞ্চুরি করলেন কোহলি। এবার ১০৯ রানে আউট হয়ে যান তিনি। কলকাতার বিপক্ষেও রান হাতে থাকলে হয়তো সেঞ্চুরিটা হয়ে যেতো কোহলির। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৭৫ রানে। এবার কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবকে পেয়ে তুলে নিলেন সেঞ্চুরি। আগের সব ইনিংসকে ছাড়িয়ে গিয়ে আউট হলেন ১১৩ রানে।
তবে আজকের সেঞ্চুরির বিশেষত্ব হলো, বৃষ্টির কারণে ৫টি করে ওভার কেটে নেয়া হলো। ফলে ৫ ওভার খেলা কম। অর্থাৎ ১৫ ওভার ব্যাটিং করার সুযোগ। এই ১৫ ওভারের মধ্যেই সেঞ্চুরি তুলে ফেললেন কোহলি। আইপিএলে প্রতিটি দলের বোলারকে তিনি বানাচ্ছেন গলির বোলারে। কেউই পাত্তা পাচ্ছে না কোহলির সামনে। ভিন কোনো গ্রহ থেকে আসা কোনো ব্যাটসম্যান না হয়েই যেন যায় না বিরাট কোহলি।
আইএইচএস/বিএ