আবিষ্কার হয়ে গেলো মুস্তাফিজ রহস্য!
আলোচনাটা শুরু হয়ে গেছে। মুস্তাফিজুর রহমানের কাটার-স্লোয়ারগুলো তাহলে অনায়াসেই খেলা যায়! কীভাবে? তাহলে তাকাতে হবে পুনে আর দিল্লির ম্যাচের দিকে। এই দুই ম্যাচেই উইকেটশূন্য মুস্তাফিজুর রহমান। শুধু তাই নয়, দিল্লির অনূর্ধ্ব-১৯-এর ব্যাটসম্যান ঋষভ পান্তে যেভাবে কাটার মাস্টারকে খেললেন, তাতে ক্রিকেট বিশ্বে এখন তুমুল আলোচনা, মুস্তাফিজকে খেলতে হয়তো আর সমস্যা হবে না ব্যাটসম্যানদের।
পুনের ব্যাটসম্যান, অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথই দেখিয়ে দিয়েছিলেন সূত্রটা। পুনের কোচ স্টিভেন ফ্লেমিংকে টিপস দিয়ে গিয়েছিলেন তিনি, কীভাবে খেলতে হবে মুস্তাফিজকে। সেই টিপস মেনেই পুনের ব্যাটসম্যানরা মুস্তাফিজকে পরের ম্যাচে কোন উইকেট দিল না। রান দিয়েছিলেন ২৬টি।
সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা হলো দিল্লির বিপক্ষে ম্যাচে। এই ম্যাচে মুস্তাফিজের চার ওভার থেকে ৩৯ রান নিল দিল্লির ব্যাটসম্যানরা। ঋষভ পান্তে একাই নিলেন ২৬ রান। মুস্তাফিজের কাছ থেকে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি রান নেয়া ব্যাটসম্যান এখন ঋষভই।
অথচ তার আগে মাত্র ২০৩ রান দিয়ে ১৩ উইকেট নিয়েছিলেন মুস্তাফিজ। তার স্লোয়ার-কাটারে বিভ্রান্ত ব্যাটসম্যানরা উপায় খুঁজছিল এই রহস্য উদঘাটনের। সেটা যে এত সহজে হয়ে যাবে তা কেউ ভাবতে পারেনি।
তবে, এ নিয়ে কথাও উঠেছে পক্ষে-বিপক্ষে। কেউ কেউ বলছেন, মুস্তাফিজ রহস্যের উদঘাটন হয়ে গেছে। আবার কেউ কেউ বলছেন, দু`একটা ম্যাচ খারাপ হতেই পারে। তাই বলে তার রহস্য উদঘাটন করা এত সহজ নয়। যার হাতে এতগুলো অস্ত্র রয়েছে, তাকে এত সহজে আবিষ্কার করে ফেলাটা খুব সহজ নয় বলেও তার পক্ষে মন্তব্য উঠে আসছে।
রহস্য ফাঁসের সম্ভাবনা বেড়ে গেছে পুনে কোচ স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের কথায়। তিনি বলেন, `মুস্তাফিজকে কীভাবে খেলা যায়, সে বিষয়ে স্টিভেন স্মিথ আমাদের কিছু টিপস দিয়েছিল। আমাদের ব্যাটসম্যানরা সেই টিপস মেনে চলে অনেক উপকার পেয়েছে।` দিল্লি ম্যাচের পর ক্রিস মরিসও বলেছিলেন, `আমরা মুস্তাফিজের বোলিং আতসী কাচের নীচে ফেলে দেখেছি। আশা করি এরপর আর ওকে খেলতে সমস্যা হবে না।`
মুস্তাফিজের প্রতীভা নিয়ে সন্দেহ নেই কারোরই। তার বোলিংয়ের প্রশংসা করেছেন বিশ্বের তাবৎ বড় বড় ক্রিকেটাররা। তাই তিনি পরের ম্যাচ থেকেই নতুন অস্ত্র নিয়ে ফিরে আসবেন, সেই আশায় বুক বাঁধছে তার ভক্তকূল। কারণ মুস্তাফিজের মতো বোলারদের হাতে একটামাত্র অস্ত্র থাকবে, তা তো হতেই পারে না।
আইএইচএস/এবিএস