ঢাকায় ১৯ দেশের ব্যাডমিন্টন উৎসব
ডিসেম্বরে সাধারণত জমজমাট থাকে দেশের ক্রীড়াঙ্গন। এ বছর ব্যতিক্রম। ফুটবল ও ক্রিকেটসহ হাতে গোনা কয়েকটি খেলা চলছে। বেশিরভাগ ফেডারেশনই নিষ্ক্রিয়। ভরা ডিসেম্বরে দেশের প্রধান ক্রীড়াভেন্যু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম এলাকা নীরব। অনেক ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশন অফিসের তালাই খোলা হয় না।
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারের জন্য গঠিত হয়েছে সার্চ কমিটি। এই কমিটির সুপারিশে এ পর্যন্ত মাত্র ৯টি ফেডারেশনের কমিটি ভেঙে নতুন অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়েছে। বাকি ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশন কবে কমিটি পাবে, তা নিয়ে এখন অপেক্ষা। বহাল থাকবেন কি থাকবেন না, এ অনিশ্চয়তায় বিদ্যমান কর্মকর্তারা নিষ্ক্রিয় থাকায় ক্রীড়াঙ্গন বলতে গেলে স্থবির।
ঝিমিয়ে পড়া অবস্থার মধ্যেই বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন আয়োজন করতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা। ২০১১ সাল থেকে হয়ে আসা ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জের জুনিয়র ও সিনিয়র ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের আসর বসছে ১৩ থেকে ২১ ডিসেম্বর শহীদ তাজ উদ্দিন ইনডোর স্টেডিয়াম। সিনিয়র-জুনিয়র মিলিয়ে ১৯ দেশ অংশ নেবে এই প্রতিযোগিতায়। এন্ট্রির হিসাব অনুযায়ী প্রায় ৩ শত শাটলারের এ উৎসবে অংশ নেওয়ার কথা।
জুনিয়র টুর্নামেন্টে চারটি দেশের খেলার কথা ছিল। মালদ্বীপ নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ায় এখন থাকছে কেবল স্বাগতিক বাংলাদেশ, ভারত ও ইন্দোনেশিয়া অংশ নেবে। ১৭ ডিসেম্বর শুরু হতে যাওয়া সিনিয়র টুর্নামেন্টে ভারত, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার,কানাডা, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, জাপান, মালদ্বীপ, ইউক্রেন, ইতালি, ফিনল্যান্ড, বুলগেরিয়া, উগান্ডা, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর ও ইংল্যান্ডের শাটলারের অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
বিগত আসরগুলোয় জুনিয়র বিভাগে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কৃতিত্ব রয়েছে। এবারও সেই সাফল্য প্রত্যাশা ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামরুন নাহার ডানার। তিনি বলেন, ‘আমরা দুই বিভাগেই ভালো প্রত্যাশা করছি। বিশেষ করে জুনিয়র বিভাগে বিগত টুর্নামেন্টগুলোতে আমাদের একাধিক পদক ছিল। এবারও সেই রকম কিছু আশা রয়েছে।’
সাবেক জাতীয় চ্যাম্পিয়ন এলিনা সুলতানা নারী ও মোস্তফা জাবেদ পুরুষ দলের প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করবেন। ৭০ লাখ টাকা বাজেটের এই টুর্নামেন্টে একমি, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। জুনিয়রে পাঁচ ও সিনিয়রে ১৫ হাজার মার্কিন ডলার প্রাইজমানি রয়েছে।
আরআই/এমএমআর/এমএস