এভারটনকে হারিয়েই লেস্টারের শিরোপা উদযাপন
রূপকথা আর বলা যাবে না এখন। লেস্টার যে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে- সেটা এখন দিনের বাস্তব সত্য কথা। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ম্যানচেস্টার সিটি, চেলসি, আর্সেনাল থেকে শুরু করে বড় বড় এবং ঐতিহ্যবাহী প্রিমিয়ার লিগ ক্লাবগুলো যেখানে চূড়ান্তভাবে ব্যার্থ, সেখানে কীভাবে একাগ্রতা, পরিশ্রম এবং ধৈয্য দিয়ে সাফল্যের চূড়ান্ত শিখরে আরোহন করা যায়, সেটাই দেখিয়ে দিল লেস্টার সিটি। কিং পাওয়ার স্টেডিয়ামের সত্যিকারের কিং তারা এখন। ক্লদিও রানিয়েরির চূড়ান্ত অভিভাকত্বই লেস্টারকে এনে দিয়েছে এমন অসাধারণ এক সাফল্য।
গত সপ্তাহেই টটেনহ্যামের সঙ্গে চেলসির ড্র করার সঙ্গে সঙ্গে নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল লেস্টারের শিরোপা জয়। রূপকথার অভিযাত্রা শেষে করে এখন তারা কাংখিত গন্তব্যে। তবে তাতে তো আর শিরোপা হাতে এসে যায়নি। এভারটনের বিপক্ষে ম্যাচ শেষেই আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে শিরোপা তুলে দেয়া হবে।
সেই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো শনিবার। কিং পাওয়ার স্টেডিয়ামে তো এমনিতেই রাজত্বের মুকুট পরে নামছিল দ্য ফক্সেসরা। অপরদিকে এভার্টন আবার পিছিয়ে থাকা একটি দল। সুতরাং, ঘরের মাঠে নীল সমূদ্রে আসমূদ্র হিমাচল হয়ে ওঠার কথাই লেস্টারের। সেটাই হলো। নীল সমূদ্রে হারিয়ে গেলো এভার্টন। লেস্টারের কাছে হেরে গেলো ৩-১ গোলের ব্যবধানে।
আর লেস্টার? যারা ইতিহাস তৈরী করেছে, তারা ছিল শুধু শিরোপাটা হাতে তুলে নিয়ে চূড়ান্ত উদযাপনের অপেক্ষায়। লেস্টারের স্বপ্নের নায়ক জেমি ভার্ডির জোড়া গোলে এভার্টনকে উড়িয়ে দিয়ে রীতিমত বুনো উল্লাসে মেতে ওঠে লেস্টারবাসী। কিং পাওয়ার স্টেডিয়ামে তখন অন্যরূপ। হাজার হাজার কনফেত্তি উড়ে বেড়াচ্ছে পুরো স্টেডিয়ামজুড়ে। নীলের সমূদ্র যেন পুরোটাই আছড়ে পড়েছে কিং পাওয়ারে। লেস্টারের অধিনায়ক ওয়েজ মরগ্যান এবং কোচ ক্লদিও রানিয়েরির হাতে ট্রফিটা তুলে দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই হাজার হাজার আতশবাজির আলোকচ্ছটায় যেন ঝলসে উঠলো পুরো লেস্টার শহর। এরপর মাঠেই চললো শ্যাম্পেন উৎসব।
এভার্টনের বিপক্ষে ৫ মিনিটেই জেমি ভার্ডির গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিক লেস্টার। ৩৩ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করে ব্যবধান বাড়ান অ্যান্ডি কিং এবং ৬৫ মিনিটে পেনাল্টি থেকে নিজের দ্বিতীয় এবং দলের তৃতীয় গোল করে জয় নিশ্চিত করেন জেমি ভার্ডি। খেলার ৮৮ মিনিটে ১টি গোল শোধ করতে পারে এভার্টন।
উল্লেখ্য, লিগের এখনও এক ম্যাচ বাকি লেস্টারের। ৩৭টি ম্যাচ খেলে তাদের অর্জন ৮০ পয়েন্ট। দ্বিতীয় স্থানে থাকা টটেনহ্যাম ১ ম্যাচ কম খেললেও তাদের অর্জন ৭০ পয়েন্ট। আরও বাকি দুই ম্যাচ। এই দুই ম্যাচে কোনভাবেই লেস্টারকে আর ছোঁয়া সম্ভব নয় তাদের। শেষ ম্যাচে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে গিয়ে স্বাগতিক চেলসির মুখোমুখি হবে লেস্টার সিটি।
আইএইচএস/এমএস