ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

কঠোর পরিশ্রমেই এলো এই সাফল্য : জিদান

প্রকাশিত: ০৭:৫১ এএম, ০৫ মে ২০১৬

‘পরিশ্রমই সাফল্যের চাবিকাঠি’- বাংলায় এই বাগধারাটা ছোটবেলায় কী খুব মুখস্ত করেছিলেন কিংবদন্তী জিনেদিন জিদান! যত বড় তারকাই হোক কিংবা যত বড় দল হোক সাফল্য পেতে হলে পরিশ্রম করতেই হবে। এর কোন বিকল্প খোলা নেই। জিনেদিন জিদান সেইটাই মনে করিয়ে দিলেন আরেকবার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে ম্যানচেস্টার সিটিকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করার পর মাদ্রিদের সাফল্য নিয়ে জিদান জানালেন, সব কিছুর পেছনে পরিশ্রমই মূল।

সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ম্যাচটি দেখতে জড়ো হয়েছিল প্রায় ৮০ হাজার দর্শক। এদের ৯৮ ভাগই যে আবার রিয়ালের সমর্থক তা বলাই বাহুল্য। ঘরের মাঠের সমর্থকদের সামনে ইনজুরি থেকে পুরোপুরি সেরে না ওঠা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে প্রথম থেকে মাঠে নামিয়ে দিয়েছিলেন কোচ জিদান। তবে গোলের নায়ক গ্যারেথ বেল। ২০ মিনিটে তার দুর্দান্ত শটটিতে হালকা গতি পরিবর্তণ করে দেন ম্যানসিটির ফার্নান্দো। তাতে রিয়ালেরই লাভ হয়েছে। বল প্রবেশ করে সিটির জালে।

এই ১-০ গোলেই জয় সূচিত হয় রিয়াল মাদ্রিদের। ফাইনালে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদেরই মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে ম্যানসিটির বিপক্ষে দারুন জয়টাকে রিয়াল কোচ জিদান বর্ণনা করলেন, পরিশ্রমের ফল হিসেবেই।

ম্যাচ শেষে জিদান বলেন, ‘ম্যানসিটিকে আমি কখনওই দুর্বল ভাবিনি। কারণ তারা দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ। এমনকি তারা ভালোও খেলেছে। কারণ ম্যাচের ফল দেখলেই যে কেউ বুঝে যাবে, আমাদের জন্য কতটা কঠিন ছিল ম্যাচটি। আমরা জিতেছি মাত্র ১-০ গোলে। সুতরাং, বোঝাই যাচ্ছে আমরা কঠিন এক প্রতিপক্ষের মোকাবেলা করেছি। কোন সুযোগই তৈরী করতে দেয়নি তারা। যে কারণে আমাদেরকে বেশ ট্যাকটিক্যাল একটি ম্যাচ খেলতে হয়েছে।’

আরও গোল পেতে পারতো রিয়াল। সেটাই জানালেন জিদান। তিনি বলেন, ‘আমরা দ্বিতীয় গোল পেতে পারতাম। তবে সেটা হয়নি। কারণ, এটা সেমিফাইনাল। ম্যাচের চাপটাও ছিল সেরকম। যে কারণে শেষ পর্যন্ত আমাদের এ চাপ সামলে খেলতে হয়েছে।

জয়ের পর স্বাভাবিকভাবেই খুশি জিদান। তিনি বলেন, ‘আমি খুশি। শুধু আমি নই। আজ এমন একটা দিন, যেটাকে আমরা উপভোগ করবো।’ তবে আনন্দে ভেসে যেতে রাজি নন জিদান। কারণ এখনও শিরোপা জেতা হয়নি। সেটাই মনে করিয়ে দেন তিনি, ‘আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি। সেটার ফল পাচ্ছি। খেলোয়াড়রাও ভালো খেলছে। তবে আমাদের এখনও অনেক কিছু বাকি আছে। চূড়ান্ত সাফল্য এখনও আসেনি।’

আইএইচএস/আরআইপি

আরও পড়ুন