ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

সাব্বিরের সেঞ্চুরিতে প্রাইম ব্যাংকের বিশাল জয়

প্রকাশিত: ১১:১৪ এএম, ০৪ মে ২০১৬

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে তৃতীয় জয় পেয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। সাব্বির রহমানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে ১১৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হারায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ফলে চার ম্যাচে তিন জয়ে পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলো দলটি। অপর দিকে এ পরাজয়ে দ্বিতীয় স্থান থেকে এক ধাপ নিচে নেমে গেলে ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব।

প্রাইম ব্যাংকের দেওয়া ৩১৯ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে শেখ জামাল। স্কোরবোর্ডে কোন রান না তুলতেই আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মাহবুবুল করীমকে হারায় তারা। দলীয় ২৪ রানেই দলের শীর্ষ চার উইকেট হারায় ধানমন্ডির দলটি।

তবে পঞ্চম উইকেটে নাজমুস সাদাতকে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। ৬২ রানের জুটি গড়ার পর সুইপ করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে সহজ ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। তবে এক প্রান্ত ধরে রেখে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সাদাত। তবে শেষ রক্ষা হয়নি জামালের। তাতে কেবল হারের ব্যবধানই কমে। শেষ পর্যন্ত ২০৫ রান করে অলআউট হয়ে যায় তারা।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন সাদাত। ১০৩ বলে ৪টি ছক্কা ও ১টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। এছাড়া মুক্তার আলী ৩৬ বলে ৪০ ও মাহমুদউল্লাহ করেন ৫৫ বলে ৩৭ রান।  প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে রায়হান উদ্দিন ও নাজমুল হোসেন ৩টি করে উইকেট পান। এছাড়া সাব্বির রহমান ২টি উইকেট নেন।
এর আগে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত সূচনা পায় প্রাইম ব্যাংক। দুই ওপেনার
মেহেদী মারুফ ও শানাজ আহমেদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৭৯ রান সংগ্রহ করে তারা। এরপর মারুফ আউট হয়ে গেলে সাব্বির আহমেদকে নিয়ে দলের জন্য আরও ৬১ রান সংগ্রহ করেন  শানাজ।

দলীয় ১৪০ রানে মেন্ডিসের বলে শানাজের বিদায়ের পর নুরুল হোসেন সোহানকে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়েন সাব্বির। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১৩৩ রান যোগ করে দলকে বড় স্কোরের ভিত গড়ে দেন এ দুই ব্যাটসম্যান। তবে এরপরই শেখ জামাল অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর বোলিং তোপে পড়ে প্রাইম ব্যাংক। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩১৮ রানের বড় সংগ্রহ পায় প্রাইম।

এদিন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় লিস্ট এ সেঞ্চুরি তুলে নেন সাব্বির। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১০০ রান করেন এ ড্যাসিং ব্যাটসম্যান। ৯৭ বলে খেলা ইনিংসটি সাজানো ছিল ৮টি চার এবং ১টি ছক্কায়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৭ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৬৬ রান করেন শানাজ।

৬৭ বলে ৭টি চারের সাহায্যে ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন তরুণ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান সোহান। এছাড়া মারুফ ৩৫ রান করেন। শেখ জামালের পক্ষে ৬৬ রান দিয়ে একাই ৫টি উইকেট নেন মাহমুদউল্লাহ। এছাড়া শফিউল ইসলাম ২টি উইকেট পান।

আরটি/আইএইচএস/এবিএস

আরও পড়ুন