ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারের সার্চ কমিটি নিয়ে বিতর্ক, পুনর্গঠনের দাবি
ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারের জন্য গঠিত সার্চ কমিটির আহ্বায়ক জোবায়দুর রহমান রানাকে বিতর্কিত উল্লেখ করে তাকে সরিয়ে কমিটি পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপির) যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক এবং জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক।
শনিবার বাফুফে ভবনের সামনে মানববন্ধনের পর আমিনুল হক বলেন, ‘যাকে সার্চ কমিটির কনভেনর করা হয়েছে ওনার নাম রানা (জোবায়েদুর রহমান রানা)। তার বিষয়ে যে ফুটেজ, তথ্য ও গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগের সাথে তার যে সম্পৃক্ততা, যে পথচলা তাতে তাকে একজন বিতর্কিত লোক বলেই আমার কাছে মনে হয়েছে। এমন একজন বিতর্কিত লোককে সার্চ কমিটির কনভেনর করা সমীচীন হয়নি। আমি উপদেষ্টা মহোদয়ের কাছে বিনীত অনুরোধ করবো তিনি যেন দ্রুত পদক্ষেপ নেন এবং তাকে সরিয়ে দিয়ে সিনিয়র ও যোগ্য কাউকে দেওয়া হয় যাদের দায়িত্ব দিলে দলমত নির্বিশেষে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। সিনিয়র ও যোগ্য কাউকে প্রধান করে সার্চ কমিটি পুনর্গঠন করবেন সেটা তার কাছে প্রত্যাশা করছি।’
সরকার পরিবর্তনের পর ক্রীড়াঙ্গনে সবচেয়ে বেশি আলোচনা সংস্কার। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সুপারিশমালা তৈরির জন্য সার্চ কমিটি কেমন হবে তা নিয়ে সবার কৌতূহল ছিল। তবে কমিটি দেখে হতাশ হয়েছেন অনেকে। কমিটি গঠণের ক্ষেত্রে মুন্সিয়ানার পরিচয় দিতে পারেনি ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। সর্বজন স্বীকৃত অনেক অভিজ্ঞ ক্রীড়া সংগঠক ও সাবেক খেলোয়াড় আছেন ক্রীড়াঙ্গনে। কমিটিতে এমন অভিজ্ঞদের অন্তর্ভূক্ত করলে আরও কার্যকর হতো এবং সরকারের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের পথ সহজ হতো বলেও মনে করেন অনেকে।
তাছাড়া ৫৫টি ফেডারেশন, অ্যাসোসিয়েশন ও সংস্থা সংস্কারের বিষয়ে মাত্র পাঁচজনের কমিটি কতটা ফলপ্রসূ হবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সব খেলা ও সব ফেডারেশনের খোঁজখবর রাখা, গঠণতন্ত্র সম্পর্কে ধারণা আছে এমন আরও কিছু সদস্য এ কমিটিতে রাখা যেতো।
কমিটি পুনর্গঠনের অনুরোধ জানাতে বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সাথে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন গণমাধ্যমকে। তিনি চান এমন ব্যক্তিদের নিয়ে কমিটি হোক, যাদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় থাকবে না। সাবেক এই তারকা ফুটবলার নিয়মিতই একটা কথা বলে আসছেন ‘ক্রীড়াঙ্গন হবে রাজনীতিমুক্ত’।
ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারের ক্ষেত্রে সবার আগে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে সংস্কার প্রয়োজন বলেও অনেকে মনে করছেন। কারণ, এখনো এই প্রতিষ্ঠান চলছে আওয়ামী লীগ সরকারের সাজানো প্রশাসনে। যে প্রশাসন শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের নামে দেশব্যাপী অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প এবং বারবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম সংস্কারের নামে সরকারের অর্থ ব্যয় করেছে।
আরআই/আইএইচএস/বিএ