উৎসবের জন্য অপেক্ষা বাড়লো লেস্টারের
মওসুমের শুরু থেকেই রূপকথার জন্ম দিয়ে আসছিল লেস্টার সিটি। ক্লদিও রানেইরির অধীনে লেস্টার মওসুম শুরু করেছিল রেলিগেশন এড়ানোর লক্ষ্য নিয়েই। কথায় বলে স্বপ্ন বড় না হলে অর্জণও বড় হয় না; কিন্তু রানেইরির মনে ছিল ভিন্ন কোন চিন্তা। ভাবনাটা তিনি মনেই পোষন করে রেখেছিলেন আর একটু একটু করে বাস্তবায়ন শুরু করেছিলেন।
মওসুমের মাঝপথে এসেই সবাই অবাক হয়ে দেখলো, লেস্টার বিপ্লব। শুরুতে রূপকথা মনে হলেও, শেষ পর্যন্ত সেটা পরিণত হলো জ্বলন্ত বাস্তবে। এবার ইতিহাস গড়ার পালা লেস্টার সিটির সামনে। স্বপ্নের ইতিহাস গড়তে প্রয়োজন ছিল আর মাত্র তিনটি পয়েন্ট। সে লক্ষ্যেই ওল্ড ট্র্যাফোর্ড জয় করার জন্য আজ স্বাগতিক ম্যানইউর মাঠে নেমেছিলো লেস্টার সিটি।
তবে লুই ফন গালের শিষ্যরা অপেক্ষায় রেখে দিল লেস্টার সিটিকে। দুই ম্যাচ হাতে রেখেই যে উৎসবের প্রস্তুতি নিয়েছিল নীল শিবির, সেটাকে পূর্নতা পেতে দেয়নি রেড ডেভিলরা। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ম্যাচটি হয়েছে ১-১ গোলে ড্র। প্রথমে গোল দিয়েছিল ম্যানইউ`ই। শেষে সেটা শোধ করে লেস্টার। প্রথমার্ধেই হয়ে যায় ১-১। বাকি সময়টা আর কেউ পারেনি কারও জালে বল জড়াতে।
পয়েন্ট তালিকায় ৩৬ ম্যাচ শেষে লেস্টারের সংগ্রহ ৭৭ পয়েন্ট। দ্বিতীয় স্থানে থাকা টটেনহ্যাম হটস্পারের সংগ্রহ ৬৯। টটেনহ্যামের খেলা বাকি এখনও ৩টি। লেস্টারের বাকি ২টি। এই দুই ম্যাচ থেকে অন্তত দুই পয়েন্ট নিশ্চিত করতে হবে লেস্টারকে। না হয়, টটেনহ্যাম যদি টানা তিনটি ম্যাচই জয় পেয়ে যায় এবং লেস্টার এই দুই ম্যাচে হেরে যায়, তাহলে কিন্তু উৎসবটা কিং পাওয়ার স্টেডিয়াম থেকে চলে যাবে অন্যত্র।
খেলার ৮ম মিনিটেই অ্যান্থোনি মার্শালের গোলে এগিয়ে যায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর লেস্টার সুযোগ খুঁজতে থাকে এটা কাটিয়ে ওঠার। ১৭তম মিনিটেই নীল শিবিরকে সমতায় ফেরান ওয়েজ মরগ্যান। এরপর খেলার ৮৩ মিনিটে আর কেউ কারও জালে বল জড়াতে পারেনি। বরং, ৮৬তম মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হয় লেস্টার। এ সময় দুটি হলুদ কার্ড, সমান লাল কার্ড দেখে মাঠ থেকে বহিস্কার হন ড্যানিয়েল ড্রিঙ্কওয়াটার।
আইএইচএস/এবিএস