ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

‘আনফিট ইমরানুরকে অলিম্পিকে পাঠানোর বিষয়টি তদন্ত হবে’

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৭:৪৫ পিএম, ১৪ আগস্ট ২০২৪

প্যারিস অলিম্পিকে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে টাইমিং করেছেন বাংলাদেশের দ্রুততম মানব ইমরানুর রহমান। ১০.৭৩ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করে বিদায় নিয়েছেন প্রিলিমিনারি হিট থেকেই।

পারফরম্যান্স বাজে হওয়ার কারণ বলতে গিয়ে ইমরানুর নিজেই বোমা ফাটিয়েছেন দৌড় শেষ করে। অলিম্পিকে খেলার জন্য তিনি ফিট ছিলেন না। ইমারানুর রহমান অংশ নিতেও চাননি বলে জানিয়েছেন। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রকিব মন্টু নাকি তাকে ইনজুরির কথা গোপন রাখতে বলেছিলেন।

গত মার্চে এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিকসে চোট পান ইমরানুর। এপ্রিলে অনুশীলন করার সময় তলপেটের পেশি ছিড়ে যায় তার। তখনই বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনকে অলিম্পিকে না খেলার ইচ্ছে জানিয়েছিলেন।

ইমরানুর না খেললে অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের প্যারিস ভ্রমণ হতো না। তাই হয়তো তাকে চুপ করে থেকে অংশ নিতে বলা হয়েছিল। সাধারণ সম্পাদকের এই কাণ্ডকে দুর্নীতি হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম।

বুধবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভবনের সামনে মানববন্ধনে অংশ নিতে আসা বিএনপির কেন্দ্রীয় এই নেতা বলেছেন, ‘একজন আনফিট ক্রীড়াবিদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে অলিম্পিকের মতো আসরে পাঠানো প্রমাণ করে ফেডারেশন এর মাধ্যমে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছে। তারা কোয়ালিটিতে বিশ্বাস করে না। সবকিছু তারা দলীয়করণ করেছে। এ ঘটনার সঙ্গে কারা কিভাবে জড়িত তা তদন্ত করতে হবে। আমি মনে করি, এটা একটা কারচুপি, দুর্নীতি। ক্রীড়াঙ্গনের প্রতিটি ক্ষেত্রে যে দুর্নীতি হয়েছে এটাও তার একটা প্রমান। এর বিচার করার জন্য এদেরকে দ্রুত ক্রীড়াঙ্গন থেকে বিদায় করা দরকার।’

বাফুফে ও বিসিবি সম্পর্কে এই ক্রীড়া সংগঠক বলেন, ‘ক্রিকেট বোর্ড ও ফুটবল ফেডারেশনসহ উল্লেখযোগ্য যে ক্রীড়া ফেডারেশনগুলো আছে সেগুলোর আর্থিক কেলেঙ্কারি বন্ধের জন্য আনতিবিলম্বে তাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করতে হবে। তাদের সাইনিং অথরিটি বাতিল করতে হবে। এটা এখনই করতে হবে। তা নাহলে ফেডারেশনে যা আছে তাও শেষ করে ফেলবে।’

উল্লেখ্য যে, লন্ডন প্রবাসী ইমরানুর রহমানকে উড়িয়ে এনে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক ফেডারেশনের পলাতক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রকিব মন্টু সব নজর তার দিকে দেন। কয়েকবছর ধরে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গেমসে ইমরানুর ছাড়া আর কিছুই ভাবেননি এই সাধারণ সম্পাদক। ইমরানুরের সাথে সাথে সাধারণ সম্পাদকও কখনো কোচ, কখনো অফিসিয়াল হিসেবে বিদেশ ভ্রমণ করেছেন।

এক ইমরানুর রহমানের দিকে বেশি নজর দেওয়ায় অন্য অ্যাথলেটরা বঞ্চিত হয়েছেন। তবে ফেডারেশনের অন্য কর্মকর্তারা এ বিষয়ে উচ্চবাচ্য করতে সাহস পাননি। সাধারণ সম্পাদকের ইচ্ছামতোই চলে আসছিলো বাংলাদেশের অ্যাথলেটিক।

আরআই/আইএইচএস/