দাবার বোর্ডেই চিরঘুমে এক কিংবদন্তি
দাবা ছিল জিয়াউর রহমানের ধ্যানজ্ঞান। জীবনের শেষ মুহূর্তটাও জিয়ার কাটালো দাবার বোর্ডেই। খেলার মধ্যে ক্রীড়াবিদদের মৃত্যুর ঘটনা নতুন নয়। তবে বাংলাদেশে এমন ঘটনা এটাই প্রথম।
জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের দ্বিতীয় দাবাড়ু হিসেবে গ্র্যান্ডমাস্টার খেতার অর্জন করেছিলেন ২০০২ সালে। ১৯৭৪ সালে তার জন্ম হয়েছিল দাবা পরিবারেই। বাবা পয়গাম উদ্দিন আহমেদ ছিলেন জাতীয় পর্যায়ের দাবাড়ু। স্ত্রী তাসমিন সুলতানাও ছিলেন জাতীয় পর্যায়ের খেলোয়াড়।
জিয়া-তাসমিন দম্পতির একমাত্র সন্তান তাহসিন তাজওয়ার জিয়াও দাবা খেলেন। তিনি এখন ফিদে মাস্টার। বাবা-পুত্র একসঙ্গেই খেলছিলেন চলমান জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ।
বাবা-পুত্র একসঙ্গে দাবা অলিম্পিয়ার্ড খেলে অনন্য রেকর্ড গড়েছিলেন। এশিয়াতে কোনো পিতা-পুত্রের একসঙ্গে অম্পিয়ার্ডে খেলার নজির নেই। বিশ্বতেই এমন ঘটনা হাতে গোনা কয়েকটি।
নিজেকে কিংবদন্তি পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া জিয়ার স্বপ্ন ছিল তার ছেলেকেও গ্র্যান্ডমাস্টার বানাবেন। ফিদেমাস্টার তাহসিন হয়তো একদিন বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন। তখন জিয়াউর রহমান থাকবেন অন্তলোকে।
জিয়া রাজধানীর গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। ১৯৯৩ সালে জিয়াউর রহমান আন্তর্জাতিক মাস্টারের খেতাব লাভ করেন।
আরআই/এমএইচ/এএসএম