ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

শিরোপাজয়ী ক্যাচ নিয়ে সূর্য

মনে হয়েছে বাউন্ডারির উপর দিয়ে ট্রফি চলে যাচ্ছে

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৭:১৪ এএম, ০১ জুলাই ২০২৪

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে সূর্যকুমার যাদবের একটি ক্যাচই শিরোপা জিতিয়েছে ভারতকে। হার্দিক পান্ডিয়ার করা ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলে দক্ষিণ আফ্রিকার সেট ব্যাটার লং অফে উড়িয়ে মেরেছিলেন। বল আকাশে দেখে সবাই ভেবে নিয়েই এটি বড় ছক্কা হতে যাচ্ছে।

কিন্তু পরক্ষণেই দক্ষিণ আফ্রিকার সমর্থকরা থমকে গেলেন। দূর থেকে দৌড়ে এসে বাউন্ডারি লাইনে দুই বারের চেষ্টায় অসাধারণ এক ক্যাচ নিলেন ফিল্ডার সূর্যকুমার। আউট হয়ে গেলেন মিলার। হতাশায় ভেঙে পড়লো দক্ষিণ আফ্রিকা দল। শেষ পর্যন্ত প্রথমবারের মতো আইসিসির টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠলেও শিরোপাবঞ্চিত হলো প্রোটিয়ারা।

সেই দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে এবার সরাসরি কথা বলেছেন সূর্য। ক্যাচ নেওয়ার সময় তার অনুভূতি কেমন ছিল, সেটিই অকপটে বলেছেন এই ভারতীয়।

ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সূর্য জানিয়েছেন. সেই তার কাছে মনে হয়েছিল, বাউন্ডারি লাইনের উপর দিয়ে বহুল আকাঙ্ক্ষিত শিরোপা চলে যাচ্ছে এবং সেটি অন্য কোনো দলের হাতে গিয়ে পড়ছে।

সূর্য বলেন, ‘এখন বলা সহজ। কিন্তু সেই সময় মনে হচ্ছিল, একটা ট্রফি বাউন্ডারি পেরিয়ে ওপারে চলে যাচ্ছে। তবে হ্যাঁ, সেই মুহুর্তে আপনি মনে করবেন না বলটি বাউন্ডারি লাইন অতিক্রম করবে এবং ছক্কা হবে। যা আমার নিয়ন্ত্রণে ছিল। আমি চেষ্টা করেছি। এবং সেই মুহুর্তে বাতাসও একটি বড় কারণ ছিল। আমাকে কিছুটা সাহায্য করেছিল।’

‘আমরা আমাদের ফিল্ডিং কোচের সঙ্গে অনেক অনুশীলন সেশন করেছি এবং এর মতো প্রচুর ক্যাচ নিয়েছি। তাই যখন এই ধরনের খেলার কথা আসে, তখন আমাদের মনের উপস্থিতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সূর্য জানান, ‘তার এক সময় মনে হয়েছে, তারা ম্যাচটি হারতে যাচ্ছে। কিন্তু দুই পেসার অশ্বদীপ সিং ও জাসপ্রিত বুমরাহ উইকেট ফেলে দিয়ে ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়েছেন ও শেষ পর্যন্ত শিরোপাও জিতিয়েছেন।’

এ বিষয়ে সূর্য বলেন, আমি মনে করি এটি একটি মজার খেলা। এটি দারুণ অনিশ্চিত খেলা এবং শেষ বল না হওয়া পর্যন্ত খেলা শেষ হয় না। আমি মিথ্যা বলবো না। কিছু মুহূর্তে আমরা অনুভব করেছি যে, আমাদের জয় এবং তাদের জয়ের মধ্যে ব্যবধান রয়েছে। কিন্তু মনের দিক থেকে আপনি নিজেকে মনে করিয়ে দেন যে, আপনি ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর গত ২ বছর ২ মানে কতটা পরিশ্রম করেছিলেন। আমাদের হাতে বুমরাহের ২ ওভার এবং আশ্বদীপের ১ ওভার হাতে ছিল। তারা তাদের খেলায় পরিকল্পনার শীর্ষে ছিল। তাই আমার বিশ্বাস ছিল যে, এই ছেলেরা খেলাটি ঘুরিয়ে দিতে পারে।’

 

এমএইচ/