বস্তির শিশুদের সাথে পিকনিকে মুশফিক
শিশু অধিকার নিয়ে সর্বদাই সচেতন মুশফিকুর রহীম। শিশু হত্যায় সব সময়ই সোচ্চার হতে দেখা গেছে তাকে। সেই মুশফিকই এবার সুযোগ পেয়ে চলে গেলেন বস্তির শিশুদের জন্য প্রতিষ্ঠিত একটি স্কুলের পিকনিকে। বস্তির শিশুরাও হঠাৎ তাদের মধ্যে মুশফিকুর রহীমের মত এক তারকাকে নিজেদের মধ্যে পেয়ে যারপরনাই উচ্চসিত, উদ্বেলিত। সারাজীবন মনে রাখার মত দারুন কিছু স্মৃতি সেই শিশুদের উপহার দিতে পেরেছেন বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক।
ঢাকার পিছিয়ে পড়া শিশুদের জন্য ইত্তিহাদ কেভিন ক্রুদের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত স্কুলের শিশুদের সহযোগিতায় নিজে থেকেই এগিয়ে আসেন মুশফিক। দুবাই ভিত্তিক সংবাদপত্র দ্য ন্যাশনালে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট থেকেই জানা গেছে, ‘কিছুদিন আগেই সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য প্রতিষ্ঠিত স্কুল চয়েস টু চেঞ্জ স্কুল পরিদর্শণ করেন মুশফিক। তার সঙ্গে ছিলেন ইত্তিহাদের স্বেচ্ছাসেবক দল। স্কুলটি যে উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত, তাদেরকে সমর্থন এবং সহযোগিতা দেয়ার লক্ষ্যেই মুশফিক গিয়েছিলেন ওই স্কুলে।’
শুধু তাই নয়, চয়েস টু চেঞ্জ (সিটুসি) স্কুলের শিশুদের সঙ্গে বনভোজনেও অংশ নেন মুশফিকুর রহীম। সিটুসি স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা, ইত্তিহাদ এয়ারওয়েজের কেভিন ক্রু, স্লোভাকিয়ান মিসেস ইভা কারনোভা বলেন, ‘মুশফিকের সঙ্গে আমাদের পরিচয় হুট করেই এক পারিবারিক বন্ধুর মাধ্যমে। মুশফিক আমাদের প্রস্তাবে রাজি হওয়ায় আমরা ও বিদ্যালয়ের শিশুরা আশ্চর্য হয়েছিলাম। আমাদের সঙ্গে মুশফিকের কোনো আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক নেই, তবে গত সপ্তাহে সিটুসি’র বাৎসরিক বনভোজনে মুশফিকের উপস্থিতি শিশুদের অনেক অনুপ্রাণিত করেছে এবং মনে রাখার মতো কিছু স্মৃতি উপহার দিয়েছে।’
মুশফিকও নিজের ফেসবুক পেজে এ নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, ‘চিড়িয়াখানায় শিশুদের সঙ্গে দারুণ কিছু সময় কাটালাম। চয়েস টু চেঞ্জ স্কুল ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ, আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য।
ছয় বছর আগে ইত্তিহাদ এয়ার ওয়েজের স্লোভাকিয়ান কেভিন ক্রু বাংলাদেশে যাত্রা বিরতির সময়ে ঢাকার বস্তি ঘুরে দেখেন। এ সময় ঢাকার সুবিধাবঞ্চিক শিশুদের জন্য কিছু একটা করার চিন্তা মাথায় আসে তার। তখনই একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার চিন্তা শুরু করেন। বস্তির শিশুদের ভবিষ্যৎ গড়ে দেয়ার জন্য সেই চিন্তা থেকেই বন্ধু সুনীল বাড়োই-এর সঙ্গে যৌথভাবে ২৫জন শিশু নিয়ে চয়েস টু চেঞ্জ প্রতিষ্ঠা করেন। ইংরেজি মাধ্যমে এই বিদ্যালয়ে শিক্ষা প্রদান করা হয়।
আইএইচএস/এবিএস