রেকর্ড গড়ে গুজরাটকে হারালো মুস্তাফিজের হায়দারাবাদ
আইপিএলের নবম আসরে এই প্রথম ১০ উইকেটের জয়। গুজরাট লায়ন্সকে কোনো পাত্তাই দিলো না হায়দারাবাদ। গুজরাটের দেয়া ১৩৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে সহজেই জয়ে ছিনিয়ে নিলেন ডেভিড ওয়ার্নারা। তাও আবার ৩১ বল বাকি থাকতেই।
আগের ম্যাচের জয়ের নায়ক ডেভিড ওয়ার্নার এ ম্যাচেও খেলেন ঝড়ো ইনিংস। তাকে উপযুক্ত সঙ্গ দেন শেখর ধাওয়ান। ওয়ার্নার করেন ৭৪ রান। ৪৮ বলে মোকাবেলা করে ৬টি চারের সাহায্যে এ রান সংগ্রহ করেন তিনি। আর ধাওয়ান ৪১ বলে ৫টি চারের সাহায্যে করেন ৫৩ রান।
গুজরাটের কোনো বোলারই হায়দারাবাদের কোনো উইকেট ফেলতে পারেননি। যে গুজরাট আগের তিন ম্যাচের তিনটিতেই জয় পেয়েছিল তাদের আজ মাটিতে নামিয়ে আনলেন মুস্তাফিজরা। ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন ভুবনেশ্বর কুমার।
টস জিতে কেন ফিল্ডিং নিয়েছিলেন সানরাইজার্স হায়দারাবাদ অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার, সেটা প্রমাণ করেছেন দলটির বোলাররা। এদিন দুর্দান্ত বোলিং করেন মুস্তাফিজুর রহমান, ভুবনেশ্বর কুমার আর বারিন্দার স্রানরা। তাদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে মাত্র ১৩৫ রানেই গুটিয়ে যায় স্বাগতিক গুজরাট লায়ন্স।
সানরাইজার্স বোলারদের সামনে একা এক সুরেশ রায়নাই যেন লড়াই করেনন। অ্যারোন ফিঞ্চ আর ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ব্যাটে ভর করে আগের তিন ম্যাচে দারুণ জয় পেয়েছিল গুজরাট লায়ন্স। তবে চতুর্থ ম্যাচে এসে আর দারুণ ব্যাটিং লাইনআপটি নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি। শুধু রায়না ছাড়া।
৫১ বলে ৭৫ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন গুজরাটের অধিনায়ক রায়না। অথচ এই ইনিংসে নেই কোনো ছক্কার মার। ৯টি ছিল বাউন্ডারির মার। বাকিগুলো এসেছে সিঙ্গেল-ডাবল থেকে।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে গুজরাট। রান তোলার আগেই আউট হয়ে যান অ্যারোন ফিঞ্চ। ১৭ বলে ১৮ রান করে আউট হয়ে যান ব্রেন্ডন ম্যাককালামও। এছাড়া সর্বোচ্চ ১৪ রান করেন রবীন্দ্র জাদেজা। বাকিরা ছিল আসা-যাওয়ার মিছিলে।
মুস্তাফিজের বলে বোল্ড হলেন সদ্য বিয়ে করে আসা রবীন্দ্র জাদেজা। ৪ ওভার বল করে ১৯ রান দেন মুস্তাফিজ। ভুবনেশ্বর কুমার নেন ২৯ রানে ৪ উইকেট।
বিএ