ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

সোহাগের কণ্ঠে সুযোগ না পাওয়ার আক্ষেপ

প্রকাশিত: ০৩:২৯ পিএম, ১৭ এপ্রিল ২০১৬

২০১২ সালের নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক সোহাগ গাজীর। বাঁ-হাতি স্পিনারদের ভীড়ে হঠাৎই ডান হাতি স্পিনে নতুন বৈচিত্র্য নিয়ে জাতীয় দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হয়ে ওঠেন তিনি।

কিন্তু দারুণ ফর্মে থাকা গাজীর জীবনে বিভীষিকা হয়ে আসে বোলিং অ্যাকশন ত্রুটি। আইসিসি কর্তৃক নিষিদ্ধ হওয়ার পর সংশোধন করে ফিরে আসলেও জাতীয় দলের দরজা যেন বন্ধ হয়ে যায় তার। দলে ফেরার জন্য যে ধরনের সুযোগ পাওয়া দরকার সেগুলোও পর্যাপ্ত পাচ্ছেন না তিনি। মাঝে একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে পারলেও, সেটা যেন বড় আক্ষেপ হয়েই দেখা দিয়েছে তার সামনে।

টেস্ট ক্রিকেটের ১৩৮ বছরের ইতিহাসে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে বিরল এক রেকর্ডের মালিক সোহাগ গাজী। এক টেস্টে শতরানের পাশাপাশি হ্যাটট্রিক করা একমাত্র খেলোয়াড় তিনি। এমন দারুণ পারফরমার হয়েও দলে জায়গা ধরে না রাখার আক্ষেপে পুড়ছেন তিনি। পাশাপাশি একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে না পারার আক্ষেপ রয়েছে তার। টেস্ট ও ওয়ানডে দলে পারফর্ম করা গাজী এ দু`সংস্করণেই সুযোগ চেয়েছেন। না পেয়ে এখন পুরোপুরি হতাশ তিনি।

রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের একাডেমী মাঠে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে অনুশীলন করতে আসেন সোহাগ। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত জুলাইতে হঠাৎ দলে সুযোগ পাই। এগারো বারো মাস পরে আমি দলে আসছি। আমি হলাম টেস্টে এবং ওয়ানডেতে পারফরমার। টি-টোয়েন্টিতে আমি নিজেই বলছি, অতো বড় খেলোয়াড় না। আমার এতো ভেরিয়েশনও নাই। এখন কেন আমাকে ওয়ানডে ও টেস্টে সুযোগ না দিয়ে টি-টোয়েন্টিতে দেওয়া হলো? কেন মাত্র দুই ওভার বল করতে দেওয়া হলো? আশা করছিলাম আমাকে ওয়ানডে এবং টেস্টে সুযোগ দেওয়া হবে। জানতামও না যে, হঠাৎ করে একটি টি-টোয়েন্টিতে নেওয়া হবে। হলো যখন, তখন করতে দেয়া হলো মাত্র দুই ওভার বল।’

তবে সুযোগ না পেলেও এখনই হাল ছেড়ে দিতে নারাজ সোহাগ। পারফরম্যান্স করে নির্বাচকদের দৃষ্টিতে আসতে চান তিনি। আর অনেকটা আক্ষেপ করে জানান, বল-ব্যাট হাতেই তিনি এর জবাব দিবেন।

‘এখন আমার কাজ কষ্ট করা, অনুশীলন করা। তারপর নির্বাচকদের কাজ, আমার পারফরম্যান্স দেখে নেওয়া। তবে আমি অপেক্ষা করছি কবে তারা আমাকে বলবে, তুমি জাতীয় দলে খেলার জন্য প্রস্তুত। আমি আমার হাল ছাড়ছি না। পেশাদার খেলোয়াড় হিসাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমি তো আর হাত পা চালিয়ে কিছু করতে পারবো না, আমাকে জবাব ব্যাট আর বল দিয়েই দিতে হবে।’

আরটি/আইএইচএস/পিআর

আরও পড়ুন