অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপ জিততে চাই: মাহমুদুল্লাহ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের কাছে শেষ মুহূর্তে হারের ক্ষত কী এত সহজে শুকানো যায়! সমর্থক থেকে ক্রিকেটার- কারও মন থেকেই সেই দগদগে ঘা- মুছে যাওয়ার কথা নয়। ধরলাম, ধীরে ধীরে মানুষ ভুলে যেতে শুরু করেছে, এক সময় এসে দেখা যাবে কেউ তা আর মনে রাখেনি; কিন্তু সবাই ভুলে গেলেও দু’জন ব্যাক্তি আছেন, যারা সারাজীবনেও এই ক্ষত ভুলতে পারবেন না। সারাজীবনই কিছুটা অপরাধবোধ তাড়িয়ে বেড়াবে তাদের দু’জনকে।
সেই দু’জন হলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এবং মুশফিকুর রহিম। সম্পর্কে দু’জন আবার ভায়রা ভাই, একই পরিবারের সদস্য। ভারতের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে তারা যদি মারাত্মক দুটি ভুল না করতেন, জয়টা নিশ্চিত বাংলাদেশেরই ছিল; কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাস- ১ রানে হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে।
ওই হারের পর তো মিডিয়াকে এড়িয়েই চলার পণ করেছেন যেন মুশফিকুর রহীম। কোনভাবেই সাংবাদিকদের সামনে ধরা দিচ্ছেন না তিনি। তবে কথা বলছেন মাহমুদুল্লাহ। একদিন আগেই মিডিয়াতে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ‘ভারতের কাছে এভাবে হারের সব দায় আমার।’
এবার মাহমুদুল্লাহ জানালেন এই দায় থেকে মুক্তি নেয়া খুব বেশি সম্ভব হবে না হয়তো। তবে কিছুটা হলেও ক্ষত শুকানোর কাজ তারা করে যাবেন। মাহমুদুল্লাহ মনে করেন, যদি বাংলাদেশ কোনোদিন বিশ্বকাপ জিততে পারে, তাহলে সেটাই হবে ভারতের কাছে এভাবে হারের সেরা প্রায়শ্চিত্ব। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের এই নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মনে করেন, তার নেতৃত্বেই একদিন বিশ্বকাপ জিতবে বাংলাদেশ।
আপনি কী অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপ ট্রফি তুলে ধরতে চান? এ প্রশ্নের জবাবে মাহমুদুল্লাহ জানান, অবশ্যই, এটা আমার স্বপ্নও বটে।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি আসলে কখনোই ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের সেই ক্ষণ ভুলতে পারবো না। সম্ভবত সারাজীবনের জন্যই থেকে যাবে এটা। তবে আমি চাই এই ক্ষত বোলার জন্য দেশের হয়ে স্পেশাল কিছু করতে। তাহলে হয়তো কিছুটা ভুলতে পারবো। এটা হতে পারে, বিশ্বকাপ জয়।’
এই অলরাউন্ডার সঙ্গে আরও যোগ করেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, একদিন আমরা বিশ্বকাপ জিততে পারবো। এ জন্য আমাদেরকে দ্রুত উন্নতি করতে হবে। আমার বিশ্বাস, সেই সুদিনটা খুব বেশি দুরে নয় এবং কে জানে, হয়তো বা আমিই সেই বিশ্বকাপ জয়ে দেশকে নেতৃত্ব দেবো.... হা হা হা।’
আইএইচএস/এবিএস