মানসিক রোগী প্রসঙ্গে রোমান সানা
‘আপনারা তো দেখছেন, আমি স্বাভাবিকভাবেই কথা বলছি’
স্ত্রী দিয়া সিদ্দিকীসহ রোমান সানা শনিবার যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের ইফতার মাহফিলে। স্বাভাবিকভাবেই দেশসেরা এই আরচারকে নিয়ে আগ্রহ ছিল গণমাধ্যমের।
একদিন আগে তার দেওয়া জাতীয় দল থেকে অবসরের চিঠি গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ আরচারি ফেডারেশন। অবসর, আবার ফেরার সম্ভাবনা এবং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তাকে যে ‘মানসিক রোগী’ বলেছেন তা নিয়ে কথা বলেছেন আরচার রোমান সানা।
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের মানসিক রোগী বলা প্রসঙ্গে রোমান সানা বলেন, ‘আমার খুব খারাপ লাগছে শুনে যে, তিনি এ কথা বলেছেন। আমি হতবাক হয়েছি। আমি তো আমার সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কথা বলেছি। সেটা অন্য ডিসিপ্লিনও। অন্যান্য খেলায়ও একই অবস্থা। আমাদের কিন্তু তেমন সুযোগ-সুবিধা নেই। আমাদের কোনো বেতন নেই, পকেটমানি নেই। অথচ আমরা প্রতি বছর রেজাল্ট করছি। সে অনুযায়ী বছর শেষে সুযোগ সুবিধা বাড়বে তাও নেই।’
‘১৪ বছর ধরে জাতীয় দলে আছি। সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে মেডেল নিয়ে এসেছি। সে হিসেবে আশা করি, আমাদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পাক। সেই জায়গা থেকেই আমি সবার পক্ষে বলেছি। কাউকে না কাউকে তো প্রতিবাদ করতেই হবে। এ বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলা উচিত। তবে, আমি ব্যক্তিগতভাবে কাউকে আক্রমণ করে করে কোনো কথা বলিনি।’
আপনি দাবি-দাওয়া নিয়ে কথা বলেছেন বলে কি সাধারণ সম্পাদক আপনাকে নিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন? রোমানের কথা, ‘আসলে কারো সাথে আমার ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব নাই। আমি জানি না, কেন তিনি বলেছেন। আমি সুযোগ-সুবিধা নিয়েই কথা বলেছি সবসময়। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও বলবো, যতদিন ক্রীড়াঙ্গনে আছি। তিনি বলেছেন তার জায়গা থেকে, আমি বলেছি আমার জায়গা থেকে।’
দাবি-দাওয়া নিয়ে ফেডারেশনের সঙ্গে কথা না বলে গণমাধ্যমে বলেছেন আপনি। সাধারণ সম্পাদক আপনাকে ডেকেছিলেন। আপনি যাননি। কেন?রোমান সানা বলেন, ‘ফেডারেশনের সঙ্গে কথা বলার সেভাবে সুযোগ হয়নি। আগেও তিনি অনেকবার বলেছেন, সুযোগ-সুবিধা বাড়াবেন। চেষ্টাও করেছেন। আসলে দিন শেষে সেটা আমাদের জন্য খুবই সামান্য। আর চপল স্যার যে অভিযোগ করেছেন যে আমাকে ডেকেছিলেন, তা ঠিক না। তিনি কল দিয়েছেন আর আমি রিসিভ করিনি বা কলব্যাক করিনি-এমন আমার জীবনেও কখনো হয়নি।’
ব্যক্তিগতভাবে আপনাকে আক্রমণ করে একটা মন্তব্য করেছেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপল। সে বিষয়টি কীভাবে দেখছেন? রোমান সানার উত্তর, ‘তিনি অনেক বিজ্ঞ লোক। কী মনে করে বলেছেন, কেন বলেছেন, আমি জানি না। তিনি যে কথাটা বলেছেন, ভেবেচিন্তেই বলেছেন। আমি কিছু জানি না। আপনারা তো দেখছেন। আপনাদের সামনে তো স্বাভাবিকভাবেই কথা বলছি। এখন কি মনে হয় স্যার যা বলেছেন তার সাথে মিল আছে?’
আরআই/এমএমআর/জেআইএম