ভারতের বিরুদ্ধে কথা বললেই বাদ!
আইপিএলের সম্প্রচার সত্ত্ব সনি নেটওয়ার্কের। তবে, টুর্নামেন্টের প্রোডাকশনের কাজ নিয়ন্ত্রণ করে খোদ বোর্ড অব কনট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। আর ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার রোষের মুখে পড়েই চাকরি হারিয়েছেন অনেকেই।
এই তালিকাটা বেশ লম্বা। চলুন জেনে নেয়া যাক তাদের ব্যাপারে...
অরুন লাল (২০১২)
ইন্ডিয়ার খেলোয়াড় আর ধারাভাষ্যকারদের বোর্ড আইসিসি ও নিজের দেশের ইভেন্ট ব্যতীত অন্য কোন দেশে খেলতে বা ধারাভাষ্য দেওয়া অনুমতি দেয় না। অরুন লালের দোষ ছিল, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম আসরে ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করা। বিষয়টি ভালো চোখে নেয়নি বিসিসিআই। ফলে ঐ বছর ধারাভাষ্যকারদের প্যানেল থেকে বাদ পড়েন তিনি।
সঞ্জয় মাঞ্জেরেকার (২০১৩)
বিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এন শ্রীনিবাসন ও প্রধান নির্বাহী সুন্দর রমনের সমালোচনা করেছিলেন এই সাবেক ক্রিকেটার। ফলাফল, ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের ধারাভাষ্য কক্ষে দেখা যায়নি তাকে।
ড্যানি মরিসন ও হিল্টন অ্যাকারম্যান (২০১৩)
তখন প্রশ্ন উঠছিল ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির অধিনায়কত্ব নিয়ে। তখন ধারাভাষ্যকক্ষে নিউজিল্যান্ডের ড্যানি মরিসন ও দক্ষিণ আফ্রিকার হিল্টন অ্যাকারম্যান বিরাট কোহলিকে পরিচয় করিয়ে দেন ভারতের ‘হবু অধিনায়ক’ হিসেবে। ফলশ্রুতিতে সেবার আইপিএলে দেখা যায়নি এই দুই ধারাভাষ্যকারকে।
ইয়ান চ্যাপেল (২০১৪)
বাকি সবার থেকে ইয়ান চ্যাপেল ছিলেন এক কাঠি এগিয়ে। কারণ, তিনি নিজেই সরে দাঁড়িয়েছিলেন ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ থেকে। কারণ, তার চুক্তিতে লেখা ছিল দল নির্বাচন, ডিসিসন রিভিউ সিস্টেম, বিসিসিআইয়ের প্রশাসনিক ব্যাপারে কথা বলা যাবে না। এই ঘটনার জের ধরে নিজ দেশে অনুষ্ঠিত ২০১৫ বিশ্বকাপেও ধারাভাষ্যকক্ষেও দেখা যায়নি তাকে।
হার্শা ভোগলে (২০১৬)
বিশ্বকাপেও সব ঠিক ছিল। শুধু বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচটাই সব গণ্ডগোল বাঁধিয়ে দিল। ওই ম্যাচে বাংলাদেশের প্রসংশার পাশাপাশি ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের ভুল ত্রুটি নিয়ে ধারাভাষ্য কক্ষে কথা বলেছিলেন জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে। অনেকটা সে কারণেই এবার আইপিএলের ধারাভাষ্যে রাখা হয়নি ভারতের অভিজ্ঞ এই ধারাভাষ্যকারকে।
এমআর/পিআর