শেষ চারে বার্সা না অ্যাটলেটিকো
ঠিক কোন ছবিটা এই মুহূর্তে মনে আসছে ডিয়েগো সিমিওনের? ২০১৪ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে বক্সের বাইরে থেকে ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ডিয়েগোর করা ওই গোলটা? নাকি একসঙ্গে মেসি-নেইমার-সুয়ারেজের হাসিমুখে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়ানো সেই ছবি? প্রথমটি মনে আশা জাগাবে, সেবার যে ডিয়েগোর ওই গোলেই বার্সাকে হারিয়ে সেমিফাইনালে গিয়েছিল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। সিমিওনের এমন ভয়-শঙ্কা আর আশার মিশ্র অনুভূতি সামনে চলে আসছে, কারণ শেষ আটের প্রথ লেগে ২-১ গোলে এরই মধ্যে পিছিয়ে আছে তার দল। তবে আশার আলো ঘরের মাঠে ১-০ ব্যবধানে জিতলেই ইউরোপ সেরা বার্সাকে বিদায় করে দিয়ে জায়গা করে নিবেন শেষ চারে। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১২.৪৫ মিনিটে।
ঘরের মাঠে ২-১ গোলের জয়ই কি নির্ভার করছে মেসি-পিকেদের? নাকি অ্যাটলেটিকোর বিপক্ষে বর্তমান পরিসংখ্যান? এই দলটির বিপক্ষে সর্বশেষ ৭ ম্যাচের একটিও যে হারেনি বার্সা। দলের ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার ইভান রাকিতিচ তাই ফেভারিটদের কাতারে রাখছেন নিজেদেরকেই, `আমরা যেমনটা থাকতে চাই, ঠিক তেমনটাই আছি এবং আমরা এটার (সেমি ফাইনাল) দাবিদার। সোসিয়েদাদ ম্যাচ ভুলে আমরা সামনে এগিয়ে যেতে চেষ্টা করব। মাঝে মাঝে বল জালে যেতে চায় না। কিন্তু আমাদের লক্ষ্যটা সামনেই রাখতে হবে। কারণ আমরা ভালো পারফরম্যান্স এবং প্রতিপক্ষের ওপর আধিপত্য দেখিয়েছি।`
কিন্তু বার্সাকে কি সহজে ছেড়ে দেবে অ্যাটলেটিকো? ২০১৩-১৪ মৌসুমে এই দলটিকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে নাম লিখিয়েছিল ডিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা। সেবার ন্যু ক্যাম্পের প্রথম ম্যাচটা ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল, আর নিজেদের ডেরায় ১-০ ব্যবধানে জিতেছিল রোজি বস্নাঙ্কোসরা। এবার ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকলেও অ্যাওয়ে গোলের সুবিধাটা পাবে তারা। লা লিগায় নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচে এস্পানিওলকে হারানোর দলটির স্প্যানিশ মিডফিল্ডার কোকের বিশ্বাস ভাগ্যটাকে বদলাতে পারবেন, `আমরা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। বার্সেলোনায় পরিস্থিতির শিকার হয়ে ম্যাচটা জিততে পারিনি। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি ঘুরে দাঁড়াতে পারব।` এবার দেখা যাক শেষ হাসি কে হাসে?
এমআর/পিআর