কোহলি-ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাটে ২২৭ রানের পাহাড়ে ব্যাঙ্গালুরু
টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে কী ভুল করলেন সানরাইজার্স হায়দারাবাদের অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার! বোলারদের ওপর ভরসা করেছিলেন। কিন্তু উইকেট যেখানে পুরোপুরি ব্যাটসম্যানদের, সেখানে বোলারদের করার কিছু থাকে না। তারওপর ব্যাঙ্গালুরুর তিন বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যানের মধ্যে ক্রিস গেইল ব্যার্থ হলেও ডি ভিলিয়ার্স আর বিরাট কোহলি পূর্ণ মাত্রায় জ্বলে উঠলেন। তাদের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করে সানরাইজার্সের সামনে ২২৭ রানের বিশাল এক স্কোর গড়ে তুলেছে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু।
সানরাইজার্সের বোলাররা একের পর এক রান দিয়েই গিয়েছেন শুধু। কাউকে বাছ-বিচার করেনি ব্যাঙ্গালুরুর ব্যাটসম্যানরা। এক মুস্তাফিজছাড়া। ৪ ওভার বল করে তিনিই শুধু দিয়েছেন ২৬ রান। উইকেট নিয়েছেন তিনটি। ডি ভিলিয়ার্স এবং শেন ওয়াটসনকে ফিরিয়েছেন তিনি। তবে ডি ভিলিয়ার্স আর বিরাট কোহলি তার আগেই যা কাজ করার করে দিয়ে গেছেন।
দলীয় ৬ রানের মাথায় ভুবনেশ্বর কুমারের বলে ক্রিস গেইল বোল্ড হয়ে গেলেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে কোহলি আর ডি ভিলিয়ার্স মিলে ১৫৭ রানের বিশাল এক জুটি গড়ে তোলেন। ৫১ বলে ৭৫ রান করে কোহলি যখন আউট হন তখন দলীয় রান ১৬৩। ৭টি বাউন্ডারি আর ৩টি ছক্কায় সাজানো ছিল তার ইনিংস। ভুবনেশ্বরের বলেই বোল্ড হন তিনি।
তবে কোহলির চেয়েও মারমুখি ছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। ৪২ বলে তিনি খেলেন ৮২ রানের ইনিংস। মুস্তাফিজের হাতে না পড়লে সেঞ্চুরিটা করেই ফেলতেন হয়তো। ৭টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৬টি ছক্কার মার ছিল তার ইনিংসে। তবে সবচেয়ে বেশি মারকুটে ছিলেন সম্ভবত ভারতের অনুর্ধ্ব-১৯ দলের ব্যাটসম্যান সরফরাজ খান। মাত্র ১০ বলে তিনি করেন ৩৫ রান। ৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে ২টি ছক্কার মার।
৮ বলে ১৯ রান করেন শেন ওয়াটসন। ৬ বলে ৮ রান করেন কেদার যাদব। ভুবনেশ্বর আর মুস্তাফিজ নেন ২টি করে উইকেট।
আইএইচএস/এবিএস