গেইল-স্যামিদের পাশে দাঁড়ালেন শচিন
একে তো বোর্ডের সঙ্গে ঝামেলা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে আসাটাই তাদের অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গিয়েছিল। সে জায়গায় বোর্ডের সঙ্গে কোনমতে সমঝোতা করে গেইল-স্যামিরা এসেছেন বিশ্বকাপ খেলতে। সে থেকে ক্যারিবীয়রা টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন। এবার দলের খেলোয়াড়দের পাশে দাঁড়াতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের প্রতি আহ্বান জানালেন ভারতের কিংবদন্তী ব্যাটসম্যান শচিন টেন্ডুলকার।
গেইলদের জয়ের পর শচিন টুইটে লেখেন, মাঠের বাইরের আর ভেতরের সকল চ্যালেঞ্জ জয় করে আজ তারা সত্যি চ্যাম্পিয়ন। আর এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের উচিত দলের খেলোয়াড়দের সমর্থন দেওয়া।
বিশ্বকাপ ফাইনালের মঞ্চে পুরস্কার গ্রহণ করতে এসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ডকে এক হাত নিয়ে স্যামি বলেন, ‘বোর্ড শুধু অবহেলা করে গেছে আমাদের। আমরা গ্রানাডার প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে ইমেইলে শুভেচ্ছা বার্তা পেয়েছিলাম; কিন্তু আমাদের বোর্ডের কাছ থেকে তেমন কিছুই পাইনি। আমাদের কেউ খোঁজ রাখে না। এমনকি জানিও না পরবর্তীতে আর দেশের হয়ে খেলতে পারবো কি না। পরনে জার্সিটা পর্যন্ত নিজেদের জোগাড় করে খেলতে হয়েছে আমাদের।’
এদিকে উপমহাদেশ থেকে তিন তিনটি বিশ্বকাপ জিতে নিল ক্যারিবিয়ানরা। শুরুটা করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের যুবারা। মিরপুরের মাঠে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ফাইনালে শক্তিশালী টুর্নামেন্টের হট ফেভারিট ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় তারা। যুবাদের পর দ্বিতীয় শিরোপাটা আসে তাদের নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে। এবারও হট ফেভারিট টানা তিন বারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে দিয়েই শিরোপা জিতে নেয় তারা।
আর শেষটা শিল্পীর নিপুণ হাতে দারুন ফিনিসিং এনে দেন গেইল-ব্রাভোরা। ইংল্যান্ডকে চার উইকেটে হারিয়ে দারুন জয় তুলে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে শেষ নাটকীয়তায় শেষ চার বলে চারটি ছক্কা মেরে জয় এনে দেন কার্লোস ব্র্যাথওয়েট। তবে এদিন জয়ের মুল নায়ক ছিলেন ২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নায়ক মারলন স্যামুয়েলসই।
এমআর/পিআর