ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৫৬ রানের লক্ষ্য দিল ইংল্যান্ড

প্রকাশিত: ০৩:১১ পিএম, ০৩ এপ্রিল ২০১৬

কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সের উইকেট ক্ষণে ক্ষণে যেন পরিবর্তণ হচ্ছিল আজ। শুরুতে মনে হচ্ছিল বোলিং উইকেট। পরে জো রুট আর জস বাটলার ঘুরে দাঁড়ানোয় মনে হচ্ছিল, না এটা আসলেই ব্যাটিং উইকেট; কিন্তু মাঝ পথে এসে বোলাররা যখন উইকেট পাওয়া শুরু করলো ধারনাটা আবারও বদলে যেতে থাকে। শেষ-মেষ এই ধারণাও বদলে দিল ইংল্যান্ডের টেল এন্ডাররা। শেষ পর্যন্ত টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল ইংল্যান্ড। শিরোপা জিততে হলে ১৫৬ রান করতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।

শুরুতে ব্যাটিং উইকেটই প্রত্যাশা করেছিল সবাই। কিন্তু, একি ব্যাটিং উইকেট যে দেখা যাচ্ছে ব্যাটসম্যানদের মৃত্যুকুপ! টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি। আমন্ত্রণ পেয়ে ব্যাট করতে নেমেই বিপর্যয়ে পড়ে ইংল্যান্ড। ক্যারিবীয় পেস এবং স্পিন আক্রমণে দিশেহারা হয়ে একের পর এক উইকেট হারাতে শুরু করে তারা।

ইনিংসের দ্বিতীয় বল থেকেই চরম বিপর্যয়ে পড়েছে ইয়ন মরগ্যানের দল। স্যামুয়েল বদ্রিকে দিয়ে বোলিং ওপেন করার ড্যারেন স্যামি। ওভারের দ্বিতীয় বলেই বদ্রির সুইং বুঝতেই পারেননি জ্যসন রয়। ইংল্যান্ডকে স্বপ্নের শুরু এনে দেয়ার মূল কারিগরই বোল্ড হয়ে গেলেন কোন রান না করে।

রানের খাতা খোলার আগেই এক উইকেট নাই ইংলিশদের। এই ওভারে স্যামুয়েল বদ্রির কাছ থেকে ৭ রান নিলেন জো রুট। দ্বিতীয় ওভারে বল করতে আসেন আন্দ্রে রাসেল। এবার ইনিংসের পঞ্চম বলেই আলেক্স হেলসকে ফিরিয়ে দিলেন রাসেল। স্রেফ বোকা বানালেন হেলসকে। শর্ট ফাইন লেগে খেলতে দিলেন। তাতেই ক্যাচ তুলে দিলেন হেলস। জায়গায় দাঁড়িয়ে ক্যাচটি তালুবন্দী করলেন স্যামুয়েল বদ্রি। 

এ সময় মনে হচ্ছিল যেন এক তরফাভাবেই ম্যাচ জিততে যাচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ; কিন্তু দলটির নাম যে ইংল্যান্ড! চরম পেশাদারি মানসিকতার। যে কারণে ২৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেললেও জো রুট আর জস বাটলারের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় ইংলিশরা।

এ দু’জনের ৬১ রানের জুটিই ইংল্যান্ডকে লড়াইয়ের পুঁজি গড়তে সাহায্য করে। যদিও দলীয় ৮৪ রানের জস বাটলার (২৯ বলে ৩৬ রান করে) আউট হয়ে যান কার্লোস ব্রাফেটের বলে ডোয়াইন ব্র্যাভোর হাতে ক্যাচ দিয়ে। এ সময় ক্যাচ ধরার পরই ট্রেডমার্ক ড্যান্সে মেতে ওঠেন ব্র্যাভো। বেন স্টোকস মাঠে নেমেও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। ১৩ রান করে আউট হয়ে যান তিনি।

এক প্রান্তে উইকেট পড়তে থাকলেও অপরপ্রান্তে জো রুট ছিলেন বিধ্বংসী রূপে। ৩৩ বলেই হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করে ফেলেন তিনি। যদিও ১১০ রানের মাথায় স্টোকস এবং মঈন আলিকে হারিয়ে আবারও বিপদে পড়ে যায় ইংল্যান্ড। ১১১ রানের মাথায় আউট হন মারমুখি হতে থাকা জো রুটও। ব্রাফেটের বলে সুলেমান বেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এ সময় তার রান ৫৪।

তবে ক্রিস জর্ডান আর ডেভিড উইলির ব্যাটে আবারও ঘুরে দাঁড়ায় ইংল্যান্ড। ১৩ বলে ১২ রান করে অপরাজিত থাকেন ক্রিস জর্ডান। ১৪ বলে ২১ রান করেন ডেভিড উইলি। শেষ দিকে আউট হন লিয়াম প্লাঙ্কেটও। আদিল রশিদ থাকেন চার রানে অপরাজিত। 

৩ উইকেট করে নেন ডোয়াইন ব্র্যাভো এবং কার্লেোস ব্রাফেট। ২ উইকেট নেন স্যামুয়েল বদ্রি এবং ১ উইকেট নেন আন্দ্রে রাসেল।

আরটি/আইএইচএস/পিআর

আরও পড়ুন