ঘুরে দাঁড়িয়েও বিপর্যয়ে ইংল্যান্ড
কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ব্যাটিং উইকেটই প্রত্যাশা করেছিল সবাই। কিন্তু, একি ব্যাটিং উইকেট যে দেখা যাচ্ছে ব্যাটসম্যানদের মৃত্যুকুপ! টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি। আমন্ত্রণ পেয়ে ব্যাট করতে নেমেছে ইংল্যান্ড।
শুরুতেই কলকাতার ইডেনে বিপর্যয়ে পড়ে যায় ইংল্যান্ড। ক্যারিবীয় পেস এবং স্পিন আক্রমণে দিশেহারা হয়ে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকলে মনে হচ্ছিল যেন এক তরফাভাবেই ম্যাচ জিততে যাচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু দলটির নাম যে ইংল্যান্ড। চরম পেশাদারি মানসিকতার। যে কারণে ২৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেললেও জো রুট আর জস বাটলারের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় ইংলিশরা।
এ দু’জনের ৬১ রানের জুটিই ইংল্যান্ডকে লড়াইয়ের পুঁজি গড়তে সাহায্য করে। যদিও দলীয় ৮৪ রানের জস বাটলার আউট হয়ে যান কার্লোস ব্রাফেটের বলে ডোয়াইন ব্র্যাভোর হাতে ক্যাচ দিয়ে। ক্যাচ ধরার পরই ট্রেডমার্ক ড্যান্সে মেতে ওঠেন ব্র্যাভো। এরপর মাঠে নামেন বেন স্টোকস। তবে অপরপ্রান্তে জো রুট রয়েছেন বিধ্বংসী রূপে। ৩৩ বলেই হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করে ফেলেন তিনি।
তবে ১১০ রানের মাথায় স্টোকস এবং মঈন আলিকে হারিয়ে আবারও বিপদে পড়ে গেলো ইংল্যান্ড। ১১১ রানের মাথায় আউট হয়ে গেলেন মারমুখি হয়ে থাকা জো রুটও। ব্রাফেটের বলে সুলেমান বেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এ রিপোর্ট লেখার সময় ইংল্যান্ডের রান ১৪.১ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১১। উইকেটে রয়েছেন ক্রিস জর্ডান এবং ডেভিড উইলি।
এর আগে ব্যাট করেতে নেমে পুরো টুর্নামেন্টে প্রথম বল থেকেই মারমুখি হয়ে ওঠা ইংলিশদের একি দশা। ইনিংসের দ্বিতীয় বল থেকেই চরম বিপর্যয়ে পড়েছে ইয়ন মরগ্যানের দল। স্যামুয়েল বদ্রিকে দিয়ে বোলিং ওপেন করার ড্যারেন স্যামি। ওভারের দ্বিতীয় বলেই বদ্রির সুইং বুঝতেই পারেননি জ্যসন রয়। ইংল্যান্ডকে স্বপ্নের শুরু এনে দেয়ার মূল কারিগরই বোল্ড হয়ে গেলেন কোন রান না করে।
রানের খাতা খোলার আগেই এক উইকেট নাই ইংলিশদের। এই ওভারে স্যামুয়েল বদ্রির কাছ থেকে ৭ রান নিলেন জো রুট। দ্বিতীয় ওভারে বল করতে আসেন আন্দ্রে রাসেল। এবার ইনিংসের পঞ্চম বলেই আলেক্স হেলসকে ফিরিয়ে দিলেন রাসেল। স্রেফ বোকা বানালেন হেলসকে। শর্ট ফাইন লেগে খেলতে দিলেন। তাতেই ক্যাচ তুলে দিলেন হেলস। জায়গায় দাঁড়িয়ে ক্যাচটি তালুবন্দী করলেন স্যামুয়েল বদ্রি।
আরটি/আইএইচএস/এবিএস