তাসকিন-সানির নিষেধাজ্ঞায় কষ্ট পেয়েছেন মুস্তাফিজ
বিশ্বকাপের মাঝপথেই অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায়ে নিষিদ্ধ হয়েছেন বাংলাদেশের দুই বোলার তাসকিন আহমেদ এবং আরাফাত সানি। বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচের সময় নাকি এই দুই বোলার নির্ধারিত সীমা ১৫ ডিগ্রির বেশি কনুই বাঁকিয়েছিলেন। যে কারণে বিশ্বকাপ চলাকালেই চেন্নাইতে পরীক্ষা দিতে হয়েছিল তাদের এবং তড়িগড়ি করে নিষেধাজ্ঞার খড়গও আরোপ করা হলো বাংলাদেশের সম্ভাবনাময়ী এই দুই বোলারের ওপর।
তবে আরাফাত সানির চেয়ে তাসকিন আহমেদের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে আইসিসির পদক্ষেপে বেশ নাখোশ বাংলাদেশ। ক্রিকেট বোর্ড থেকে শুরু করে সাধারণ দর্শক সকলেই। যে কারণে তাসকিনের নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত তুলে নেয়ার জন্য আইসিসির কাছে সিদ্ধান্ত পূনর্বিবেচনার আবেদন করা হয়। কিন্তু সেই রিভিউতেও মুক্তি পেলেন না তাসকিন।
বাংলাদেশ দলের সম্ভাবনাময়ী এই পেসারের নিষেধাজ্ঞায় কষ্ট পেয়েছেন দলীয় অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা থেকে শুরু করে দলের সব ক্রিকেটারই। মাশরাফি তো সরাসরিই বলেছিলেন- তাসকিনের প্রতি অন্যায় করা হয়েছে। কোচ হাথুরুসিংহে, বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিকও জানিয়েছিলেন তাসকিনের অ্যাকশন বৈধ। দলের অন্য ক্রিকেটারদের মত তাসকিন-সানির নিষেধাজ্ঞায় কষ্ট পেয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের পেস বিস্ময়, কাটার মাস্টারখ্যাত মুস্তাফিজুর রহমানও।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষে দেশে ফেরার পর ছুটি দেয়া হয়েছে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের। ছুটি পেয়ে গ্রামের বাড়ি সাৎক্ষীরায় চলে আসেন মুস্তাফিজ। সেখানেই মা-বাবা, ভাই-বোন আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে হাসি-আড্ডায় দিন কাটছে পেস সেনসেনশন মুস্তাফিজের। অফুরন্ত অবসর আর হাসি-আনন্দ; কিন্তু সাংবাদিক দেখলেই কেন যেন নিজেকে লুকিয়ে ফেলার চেষ্টা করেন মুস্তাফিজ। তবুও চেষ্টা করা হলো তার সঙ্গে কথা বলার।
ক্রিকেটের বিস্ময় বালক জানালেন, মিডিয়ায় কথা বলার ব্যাপারে বিসিবির বিধি-নিষেধের কথা। তবুও সাধারণ দু’একটি কথা বলার ফাঁকে তিনি জানালেন, বিশ্বকাপের মাঝে দুই সতীর্থ আরাফাত সানি এবং তাসকিন আহমেদের নিষেধাজ্ঞায় খুব কষ্ট পেয়েছিলেন। তিনি নিজেই জাগোনিউজকে জানালেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মাঝপথেই তাসকিন-সানিকে নিষিদ্ধ করায় দুঃখ পেয়েছি।’
আইপিএল নিয়ে লক্ষ্যের কথা জানাতে গিয়ে মুস্তাফিজ জাগো নিউজকে বলেন, ‘আইপিএলে আরও ভালো খেলার চেষ্টার করবো। কারণ ইনজুরি থেকে ফিরে এখন শতভাগ ফিট হয়েছি। বোলিংয়েও আরো উজ্জীবিত হয়েছি। আগামীতে আরও ভালো কিছু করার আশাকরি। এমনকি আশা করছি আরো ভালো খেলতে পারবো।’
মাঠে নামার আগে কোন পরিকল্পনা করেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মুস্তাফিজ জাগো নিউজকে বলেন, ‘খেলার আগে পরিকল্পনা তো একটা থাকেই। তবে পরিকল্পনাটা আরও বেশি মাথায় আসে খেলার মাঠে নামার পর। মাঠে নামার পর প্রতিপক্ষের ব্যাটিংয়ের গতি দেখেই মূল পরিকল্পনা মাথায় এসে যায়।’
ছুটির সময়টা কিভাবে কাটাচ্ছেন মুস্তাফিজ? জানতে চাইলে তিনি নিজেই বলেন, ‘ছুটির সময়টুকু বন্ধু-বান্ধব, স্কুলের শিক্ষক, প্রতিবেশী, স্বজন এবং বাবা মা ও ভাইদের সাথেই কাটাতে চাই।’
আইএইচএস/এবিএস