নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে ইংল্যান্ড
টুর্নামেন্টের শুরু থেকে অসাধারণ খেলে আসছিল নিউজিল্যান্ড। টানা চার ম্যাচ জিতে সেমিতে জায়গা করে নেয়ার পর নিউজিল্যান্ডকেই সবাই বাজির ঘোড়া ধরে নিয়েছিল। বলছিল, এবার সম্ভাব্য শিরোপাজয়ী তারাই; কিন্তু ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে এসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারলো না কিউইরা।
বুধবার দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামে ব্ল্যাক ক্যাপসদের ৭ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠে গেলো ইংল্যান্ড।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান করেছিল নিউজিল্যান্ড। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বলতে গেলে ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার জেসন রয় আর আলেক্স হেলসই খেলা শেষ করে দেন। ৮.২ ওভারে ৮২ রানের জুটি গড়ে তারা বিচ্ছিন্ন হন। শেষ দিকে এসে জস বাটলারের ঝড়ো ইনিংসের ওপর ভর করে ১৭ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড।
১৫৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে কিউই বোলারদের ওপর রীতিমতো ঝড় তোলেন ইংলিশ ওপেনাররা। বিশেষ করে জেসন রয়। একাই ধ্বংস করে দেন তিনি নিউজিল্যান্ডকে। ৪৪ বলে ৭৮ রানের টর্নেডো গতির ইনিংস খেলে আউট হন তিনি। ১১টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছিল ২টি ছক্কার মার। আলেক্স হেলস আউট হয়েছিলেন ১৯ বলে ২০ রান করে।
জো রুট অপরাজিত থাকেন ২২ বলে ২৭ রান করে। ১৭ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন জস বাটলার। মাঝে অবশ্য নিউজিল্যান্ড একটু সম্ভাবনা জাগিয়েছিল ইস সোধি পরপর দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে। যদিও হ্যাটট্রিকটা হলো না, বাটলার ফিরিয়ে দেয়ায়। এছাড়া আর কোনো সম্ভাবনাই তৈরি করতে পারেনি নিউজিল্যান্ড।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে কলিন মুনরোর ৪৬ এবং উইলিয়ামসনের ৩২ রানের ওপর ভর করে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান করে নিউজিল্যান্ড। ২৮ রান করেছিলেন কোরি এন্ডারসন এবং ১৫ রান করেছিলেন মার্টিন গাপটিল। এছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যানই দুই অংকের ঘর স্পর্শ করতে পারেনি।
আইএইচএস/বিএ