ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

কর্মচারীর সঙ্গে অসদাচারণ, অফিস ফাঁকি

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পরিচালককে শোকজ

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৭:৪৬ পিএম, ৩১ অক্টোবর ২০২৩

একজন কর্মচারীর সঙ্গে অসদাচারণ করায় এবং অফিস ফাঁকি দিয়ে সরকারি চাকরিবিধি ভঙ্গ করায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) পরিচালক (অর্থ) মো. সাইদুর রশিদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

রোববার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব পরিমল সিংহ স্বাক্ষরিত ইস্যু করা এই শোকজ নোটিশে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ওই পরিচালককে তার দায়িত্ব থেকে আপাতত সরিয়ে রাখা হয়েছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের একটি সূত্র জাগো নিউজকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছে।

জানা গেছে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় প্রশাসন শাখার এক কর্মচারীর সঙ্গে অসদাচারণ করেন পরিচালক সাইদুর রশিদ। এ নিয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কর্মচারীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ার পর ওই পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অংশ হিসেবে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

কেবল কর্মচারীর সঙ্গে অসদাচারণই নয়, ওই পরিচালকের বিরুদ্ধে অফিস ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগও এনেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়েই তিনি মাঝেমধ্যে অফিসে অনুপস্থিত থাকেন। এমনকি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অনুমতি ছাড়াই তিনি গত সপ্তাহে বিশ্বব্যাংকের একটি কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।

এসব কর্মকাণ্ড সরকারী কর্মচারী বিধিমালা ২০১৯ এর ধারা ৩ এর ১ পরিপন্থী উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে কেন বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হবে না, তার কারণ দর্শাতে বলেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।

কারণ দর্শানোর দুই দিন পর আজ (মঙ্গলবার) পারিচালক (অর্থ) মো. সাইদুর রশিদকে দায়িত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন থেকে শুধুই পরিচালক। কোনো দায়িত্বে নেই।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মো. শামছুল আলম পরিচালক অর্থের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করবেন। এরই মধ্যে সাইদুর রশিদ তার দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন।

এই বিষয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মো. শামছুল আলম বলেন, ‘আমি ছুটিতে ছিলাম। অফিসে যোগ দিয়ে একটা নির্দেশনা পাই যে, আমাকে অতিরিক্ত হিসেবে পরিচালক অর্থের দায়িত্ব পালন করতে হবে। সে মোতাবেক মঙ্গলবার আমি ওই দায়িত্বভার গ্রহণ করেছি। সাইদুর রশিদকে কেন দায়িত্ব থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছে তা আমি বলতে পারবো না।’

আরআই/এমএমআর/এমএস