সর্বনিম্ন রানের লজ্জা বাংলাদেশের
২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ৭৮ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। এতদিন এটাই ছিল বাংলাদেশ দলের সর্বনিম্ন ইনিংস। হ্যামিল্টনের সেই দুঃস্বপ্ন আবারও ফিরিয়ে আনলেন টাইগাররা। এবার একেবারে নিজেদের চেনা কন্ডিশনেই, কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে তা ছাড়িয়ে গেলেন মাশরাফিরা। মাত্র ৭০ রানে অলআউট হয়ে গেলেন তারা।
৫৯ রানে যখন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি আউট হয়ে যান তখন জাগে টেস্ট প্লেয়িং দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার শঙ্কা। কারণ বাংলাদেশের এই স্কোর ছাড়া টেস্ট প্লেইং দেশের মধ্যে একমাত্র নিউজিল্যান্ডই ৬০ রানে অলআউট হয়েছিল। এই রেকর্ডটির সাক্ষী বাংলাদেশের চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম। ২০১৪ বিশ্বকাপে শ্রীলংকার বিপক্ষে ৬০ রানে অলআউট হয়েছিল কিউইরা।
তবে সব দল মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটি দশম সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড। সবচেয়ে কম রানের রেকর্ডটির সাক্ষীও চট্টগ্রামের মাঠে। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা লঙ্কানরা সেবার মাত্র ৩৯ রানেই গুটিয়ে দেয় নেদারল্যান্ডসকে।
কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ইনিংসের ১১তম ওভারের পর হঠাৎ করেই হাইকোর্ট প্রান্তের বাঁ দিকে জায়ান্ট স্ক্রিনের উপরের ফ্ল্যাড লাইট নিভে যায়। প্রায় ১২ মিনিট বন্ধ থাকার পর পুনরায় খেলা শুরু হয়। এ সময় ৪৬ রান করতেই প্রথম সারির ছয় জন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে নিজেদের সর্বনিম্ন স্কোরে অলআউট হয়ে যাবার শংকায় ভোগে বাংলাদেশ এবং কার্যত তাই হয়। বহুল আলোচিত উন্নতির পথে আবারও বাঁধা হয়ে দাঁড়ালো এ ইনিংস।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন রানের ৫ ইনিংস
রান |
প্রতিপক্ষ |
ভেন্যু |
সাল |
৭০ |
নিউজিল্যান্ড |
কলকাতা |
২০১৬ |
৭৮ |
নিউজিল্যান্ড |
হ্যামিল্টন |
২০১০ |
৮৩ |
শ্রীলংকা |
জোহানেসবার্গ |
২০০৭ |
৮৫ |
পাকিস্তান |
ঢাকা |
২০১১ |
৯৬ |
দক্ষিণ আফ্রিকা |
ঢাকা |
২০১১ |
আরটি/আইএইচএস/এমএস