ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

ম্যাচ হারের আফসোস ৫০ বছরেও যাবে না

প্রকাশিত: ০৭:২৬ পিএম, ২৩ মার্চ ২০১৬

‘উফ ভাবা যায় না..এই ম্যাচ কেমনে হারে.. অবিশ্বাস্য। শেষ ওভারে এসে মতিভ্রম.. চার-ছয় মারের কি দরকার??? এই ম্যাচ হারের আফসোস ৫০ বছরেও যাবে না।’

সাইদুর রহমান শামীম, চ্যানেল আইয়ের সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক, যিনি নিজেও এক সময় ক্রিকেট খেলেছেন। বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ শেষে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ স্ট্যাটাস দেন। তার এ স্ট্যাটাসে ম্যাচ হারাতে বিস্ময়, অবিশ্বাস, শেষ ওভারে মতিভ্রম ও জয়ের দ্বারপ্রান্তে এসেও হেরে যাওয়ার আফসোস ফুটে উঠেছে।

শুধু সাইদুর রহমান শামীমই নন, ফেসবুকে অসংখ্য স্ট্যাটাসে অবিশ্বাসন্যভাবে হেরে যাওয়াকে মেনে নিতে না পারার বেদনা ফুটে উঠেছে। সবার এক কথা এটা কী সত্যি ঘটেছে নাকি দুঃস্বপ্ন। রাত ১টা বেজে গেলেও ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়া থেমে নেই। তবে কেউ কেউ আবার হেরে গেলেও দুঃখ ভুলে বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

দেশের আরেকজন অন্যতম সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক আরিফুর রহমান বাবু ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘চোখের সামনে প্রিয়জনের অন্তিম বিদায় দেখার মতো চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের প্রেসবক্সের কাঁচের মধ্যে দিয়ে দেখলাম একটি অমিত সম্ভাবনার মৃত্যু.. এ জীবনে এমন হার আর দেখবো কিনা জানি না .. এ হারের কথা সারাজীবন মনে থাকবে।

বেলায়েত হোসেন ঢালি নামে একজন জেতা ম্যাচ হেরে যাওয়ায় অভিমান করে লিখেছেন, ‘ক্রিকেট বিশ্বে বাংলাদেশই একমাত্র দল যারা তিন উইকেট হাতে থেকেও তিন বলে দুই রান করতে পারে না। সুতরাং বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে আর মাতামাতি নয়।’

নাজমুল আলম কিরণ নামে একজন লিখেছেন, ‘একটার পর একটা ফোন কল আসছেই.. চরম হতাশার কথা ব্যক্ত করার জন্য..কানাডা থেকে এক বন্ধু ফোনে বললেন, বউ মরে গেলেও এতটা কষ্টের ছিলো না, সবাইকে তো একদিন বিদায় নিতেই হবে.. তবে তিন বলে যেখানে দুই রান দরকার সেখানে তিন উইকেট খুইয়ে হারের স্বাদ এটা কষ্টের..মেনে নেয়ার মতো নয়।’

জিয়াউর রহমান সুমন নামে একজন লিখেছেন, ‘টাইগারের পাশে আছি থাকবো!!! লড়াই করে হেরেছি, ইন্ডিয়াকে কাঁপিয়ে দিয়েছি।’ কাফি কামাল লিখেছেন, ‘হৃদয় ভেঙে খান খান হয়ে গেল। তীরে এসে তরী ডোবানো কাকে বলে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল তার অনন্য নজির স্থাপন করলো।’


সুজন মেহেদি লিখেছেন, ‘দায়িত্বহীনতা কাকে বলে!!!!!!!!। বিপ্লব শহীদ লিখেছেন, ‘এত কষ্ট আর কখনও পাইনি।’ তওহিদুর রহমান নামে একজন লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ টিমে মুশফিক মাহমুদল্লাহর অবদান অনেক, তবে আজকের অপরাধের ক্ষমা নেই।’ কামরুন নাহার লিখেন, ‘আহ রিয়াদ! মাহমুদল্লাহ রিয়াদ!!!।’ মাসুদ আহমেদ নামে একজন লিখেন, ‘এমনও হয়গো, একটি মাত্র রানের বিরহে তাজা স্বপ্নগুলো টুক করে খসে পড়লো।’ লিনা পারভীন লিখেছেন, ‘এত্ত কষ্ট। রাতে ঘুমানো টাফ। বুকটা ফেটে যাচ্ছে। আফসোসের অন্ত নাই। অসহ্য লাগছে।’

পবিত্র কুন্ডু লিখেছেন, ‘দুটি বাজে শট এবং পরাজয়। কী মুর্খামি, কি মুর্খামি!! ক্ষমাহীন। বড় হতে গিয়েও ক্রিকেটে কি আমরা চিরদিন ছোটই থেকে যাব?’

সজল আশফাক লিখেছেন, ‘বিরাট কোহলির উল্লাস দেখেই বোঝাই যাচ্ছে, বড় ফাঁড়া কেটে গেছে ভারতের। আর একটু হলে তাসকিন-সানিকে নিয়ে পুরো ষড়যন্ত্রই বৃথা যেতো। মুশফিক মাহমুদল্লাহ ভালো শট খেলে এটা সবাই জানে। ভালো শট দেখানোর আর সময় পেলো না!!! !বোঝা গেল আমাদের প্লেয়ারদের সময়জ্ঞান হতে আরেকটু সময় দিতে হবে। তবে আজকের এই জয়টা এই জাতির জন্য বড় প্রয়োজন ছিল।’

মেজবাহ য়াজাদ লিখেছেন, ‘আমাদের টাইগাররা কেবল ভুলই করে যাবে? মইনুল ইসলাম নামে একজন লিখেছেন, ‘তোমাদের আত্মহত্যা করার জন্য মাঠে পাঠানো হয়নি। অভিজ্ঞদের দায়িত্ব জ্ঞানহীন আচরণ। অবিশ্বাস্য। আবদুল হান্নান নামে একজন ক্রীড়া ফটোসাংবাদিক লিখেছেন, এটা কী হলো, ওরা কি নতুন? জেতা ম্যাচ হেরে গেলাম? ওওওওও

এমইউ/বিএ

আরও পড়ুন