পাকিস্তানকে হারিয়ে সবার আগে সেমিতে নিউজিল্যান্ড
জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হতো পাকিস্তানকে। ১৮০ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড যে তাদের নেই আর! সেই রেকর্ডটা অবশ্য মোহালির আই এস বিন্দ্রা স্টেডিয়ামে গড়তে পারলো না শহিদ আফ্রিদির দল। বরং পাকিস্তানকে ২২ রানে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে সবার আগে সেমি ফাইনালটা নিশ্চিত করে ফেললো দুর্দান্ত গতিতে উড়তে থাকা নিউজিল্যান্ড।
টানা তিন ম্যাচ জিতেছে কিউইরা। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে তারা মুখোমুখি হবে বাংলাদেশের। সে সঙ্গে এই ম্যাচে হেরে সেমির লড়াই থেকে অনেকটাই ছিটকে পড়লো পাকিস্তান। তিন ম্যাচের মধ্যে ২টিতেই হেরেছে তারা।
১৮১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে পাকিস্তান থেমে গেছে ৫ উইকেটে ১৫৮ রানে। অথচ, শুরুটা তারা যেভাবে করেছিল, তাতে মনে হচ্ছিল রেকর্ডটা তারা আজ গড়েই ফেলবে। ৪ ওভারেই ৫০ রান পার হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের দুই ওপেনার। শারজিল খান এবং আহমেদ শেহজাদের ৫.৩ ওভারেই ৬৫ রানের জুটিতে আঘাত হেনে পাকিস্তানের স্বপ্নে প্রথম ধাক্কা দেন অ্যাডাম মিলনে। ২৫ বলে ৪৭ রান করে আউট হন শারজিল খান। এরপর থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতন এবং রান রেট কমতে থাকে পাকিস্তানের।
পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ঝড় তোলার চেষ্টা করেছিলেন আফ্রিদি। ৮ বলে ১৯ রান করার পর সবাই ভেবেছিল, গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে হয়তো পাকিস্তানকে জিতিয়ে ছাড়বেন আফ্রিদি। কিন্তু ইশ শোধির বলে অ্যান্ডারসনের হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেন তিনিও। উমর আকমলের ২৪, শোয়েব মালিকের ১৫, সরফরাজ আহমেদের ১১ এবং আহমেদ শেহজাদের ৩০ রানও বাঁচাতে পারেনি পাকিস্তানকে।
নিউজিল্যান্ডের মিচেল সান্তনার এবং অ্যাডাম মিলনে নেন ২টি করে উইকেট। ইশ শোধি নেন বাকি উইকেটটি। এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মার্টিন গাপটিলের ৪৮ বলে ৮০ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের ওপর ভর করে নিউজিল্যান্ড ১৮০ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় পাকিস্তানের বিপক্ষে। রস টেলর ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
আইএইচএস/বিএ