কষ্টার্জিত জয়েই পঞ্চম রাউন্ডে জকোভিচ
ইউএস ওপেনের প্রথম দুই রাউন্ড সহজে জিতে গেলেও তৃতীয় রাউন্ডে যথেষ্ট ঘাম ঝরাতে হল বিশ্বসেরা টেনিস খেলোয়াড় নোভাক জকোভিচকে। ডেভিস কাপে তার নিজ দলের সতীর্থ লাসলো জেরেকে তৃতীয় রাউন্ডে হারাতে জোকারের সময় লাগল ৩ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট। ০-২ সেটে পিছিয়ে পড়েও ২৩টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপার মালিক জিতলেন ৪-৬, ৪-৬, ৬-১, ৬-১, ৬-৩ ব্যবধানে।
তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচের শুরুটা প্রত্যাশিত ছন্দে করতে পারেননি জকোভিচ। প্রতিপক্ষ জেরে তার জাতীয় দলের সতীর্থ। দু’জনে একসঙ্গে সার্বিয়ার হয়ে ডেভিস কাপ খেলেন।
স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বের সাবেক নাম্বার ওয়ানের শক্তি, দুর্বলতা তার অজানা নয়। সে সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন প্রথম দু’সেটে। জকোভিচও শুরুতে চেনা ফর্মে ছিলেন না। জেরে ৬-৪, ৬-৪ ব্যবধানে জিতে নেন প্রথম দু’সেট।
অপ্রত্যাশিতভাবে ০-২ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ার পর কিছুটা বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিল জোকারকে। ওই সময় তিনি লকার রুমে যান। ফিরে প্রতিপক্ষকে আর দাঁড়াতে দিলেন না। পরের তিন সেটে তার আগ্রাসী টেনিসের কোনও জবাব দিতে পারেননি জকোভিচের স্বদেশী জেরে। পরপর তিন সেট ৬-১, ৬-১, ৬-৩ ব্যবধানে জিতে ইউএস ওপেনের চতুর্থ রাউন্ডে পৌঁছে গেলেন জোকার।
ম্যাচের পর জোকোভিচ মেনে নিলেন প্রথম দু’টি সেট হারের পর কিছুটা হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। তাকে প্রশ্ন করা হয়, ‘তুমি কি লকার রুমে গিয়ে কোনও পেপ টক নিয়েছ?’
জবাবে ২৩টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি পেপ টক নিয়েছি। মিথ্যা বলছি না। সত্যিই আমি পেপ টক নিয়েছি। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে উদ্বুদ্ধ করেছি। সে সময় এটার দরকার ছিল। কারণ, আমি মানসিকভাবে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছিলাম।’
পাঁচ সেট লড়াই করে তৃতীয় রাউন্ডে জেতা জোকোভিচকে প্রশ্ন করা হয়, ‘তুমি কি দেখেছ চতুর্থ রাউন্ডে কে তোমার প্রতিপক্ষ?’ এবার শক্তিশালী ব্যাকহ্যান্ডের মতো জকোভিচের জবাব, ‘না দেখিনি। আমি এ সবের পরোয়া করি না।’
আইএইচএস/