ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

তাসকিনের পরীক্ষা যথাযথ হয়নি

প্রকাশিত: ০৫:০৫ এএম, ২০ মার্চ ২০১৬

তাসকিন আহমেদ। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ দলের অন্যতম পেস বোলার। অসাধারণ বোলিং, সুইং এবং পেস দিয়ে ব্যাটসম্যানদের কাছে নিজেকে আতংক করে তুলছিলেন। কিন্তু ফর্মে থাকার সেই সুবাতাস খুব একটা পাওয়া হলো না তার। অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায়ে আরাফাত সানির সঙ্গে তাসকিনকে সাময়িক নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। ফলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপই শেষ হয়ে গেলো বাংলাদেশের এই উঠতি পেসারের।

তবে তাকে নিষিদ্ধের কারণ হিসেবে আইসিসি জানিয়েছে, কোনো কোনো ডেলিভারিতে তাসকিন আহমেদের কনুইও ১৫ ডিগ্রির বেশি বেঁকে যায়। তবে চেন্নাইয়ের রামাচন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগারে তাসকিনের বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষায় যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে, সেটির বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।
 
অভিযোগ রয়েছে গত ১৫ মার্চ চেন্নাইয়ে পরীক্ষার সময় যথাযথ নিয়ম পালন করা হয়নি। কারণ পরীক্ষায় মাত্র তিন-চার মিনিটের মধ্যে তাসকিনকে আট-নয়টি বাউন্সার দিতে বলা হয়। এর মধ্যে তিনটি বাউন্সারে অবৈধ অ্যাকশন ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছে পরীক্ষার সাথে সশ্লিষ্টরা।

তবে এত অল্প সময়ে অতগুলো বাউন্সার দিতে হলে এ রকম হওয়াটা অস্বাভাবিকও নয়। মূলত এই পরীক্ষার ফলের ওপর ভিত্তি করেই তাসকিনের বোলিং নিষিদ্ধ ঘোষণা করে আইসিসি। কিন্তু মূলত এই পরীক্ষায় তাসকিনকে বাউন্সার দিতে বলার কথা নয়। কারণ নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে কোনো বাউন্সারই দেননি তাসকিন। তাই বাউন্সারে তার অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ ওঠারও কোনো অবকাশ ছিল না ওই ম্যাচে।

আইসিসির সিদ্ধান্তে আরেকটি নিয়মেরও ব্যত্যয় ঘটার অভিযোগ আছে। ‘স্টক ডেলিভারি’ ছাড়া অন্য কোনো ডেলিভারিতে কনুই ১৫ ডিগ্রির বেশি বাঁকা হলেও আইসিসি কোনো বোলারের বোলিং নিষিদ্ধ করতে পারে না বলে জানা গেছে। এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ভবিষ্যতের জন্য সতর্কই করতে পারে।

তাসকিনের অ্যাকশন নিয়ে অভিযোগ তার গুড লেংথ অথবা ইয়র্কার বলগুলোর মতো ‘স্টক ডেলিভারি’তে নয় বলেও তাঁর বোলিংয়ের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়। দলের কম্পিউটার বিশ্লেষকদের মাধ্যমে নেদারল্যান্ড ম্যাচের ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এসব বিষয়ে আরও নিশ্চিত হন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।

এদিকে তাসকিন ইস্যুতে আইনজীবীদের শরণাপন্ন হয়েছে বিসিবি। আইনজীবীদের মতে, তাসকিনের বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষায় প্রক্রিয়াগত কিছু ত্রুটি আছে। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী এ ধরনের পরীক্ষায় প্রক্রিয়াগত ত্রুটি থাকলে সংশ্লিষ্ট বোর্ড রিভিউ চাইতে পারে।

আরএ/এমআর/এমএস

আরও পড়ুন