‘তাসকিনদের নিষেধাজ্ঞায় দলে প্রভাব পড়তে পারে’
সাম্প্রতিক সময়ে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে ক্রিকেটে বড় বড় দৈত্য বধ করার পর এখন টি-টোয়েন্টিতেও ধারাবাহিক ভালো পারফরম্যান্স করছে টাইগার ক্রিকেটাররা। তবে তাসকিন আহমেদ ও আরাফাত সানির মত বোলারের নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করেন বাংলাদেশ দলের স্পিন অলরাউন্ডার সোহাগ গাজী।
অ্যাকশন অবৈধ অভিযোগ তুলে সোহাগ গাজীকেও নিষিদ্ধ করেছিল আইসিসি। যদিও অ্যাকশন শুধরে তিনি পরে পরীক্ষা দিয়ে পাস করেন। কিন্তু জা্তীয় দলে যে স্থানটি তার ছিল, সেটা যেন আজীবনের জন্য হারিয়েই ফেলেছেন সোহাগ। আর দু’জন ইনফর্ম বোলারের নিষেধাজ্ঞা দলে প্রভাব ফেলতে পারে বলেই মনে করছেন তিনি।
তাসকিন ও সানির নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সোহাগ গাজী জাগোনিউজকে বলেন, ‘একটা দল যখন একটা সফরে যায় তখন তারা ১৪ জনের দল সিলেক্ট করে। তাদের আলাদাভাবে অনুশীলন করায় এবং তাদের নিয়েই নানা পরিকল্পনা করে থাকে। তাসকিন-সানি গত বছর থেকেই দলে নিয়মিত। তাই তাদের এমনভাবে হারানো দলে প্রভাব ফেলতেও পারে।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলে মূল পর্বে উত্তীর্ণ হয় বাংলাদেশ। তবে মূল পর্বের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ধরাশায়ী হলেও ভালো ক্রিকেট খেলে টাইগাররা। সে ম্যাচে পাকিস্তানের পাঁচ উইকেটের চারটি উইকেট নেন সানি ও তাসকিন। তাসকিন ও সানির নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সোহাগ গাজী জাগোনিউজকে আরও বলেন, ‘আমারতো বিশ্বাস হচ্ছে না তাসকিন নিষিদ্ধ হয়েছে। আমি ওর বলে এমন কিছু দেখিনি। এটা আসলে খুবই দুঃখজনক। মেনে নেয়া খুব কঠিন। আইসিসি বিশ্বকাপের আগেই কেন এ কাজগুলো করে। ওদের বোলিং অ্যাকশনে সমস্যা এটা কি আইসিসি আগে দেখে নাই। ওরা এবারই প্রথম খেলছেনা। প্রায় দুই বছর ধরে ক্রিকেট খেলছে। বিশ্বকাপের আগেই কেন?’
উল্লেখ্য, বাছাই পর্বে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশের পেসার তাসকিন আহমেদ এবং স্পিনার আরাফাত সানির বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন দুই অনফিল্ড আম্পায়ার এস রবি এবং রড টাকার। এরপর দিন আনুষ্ঠানিক ভাবে তাদের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে অভিযোগ করেন তারা। এরপর গত ১২ মার্চ সানি ও ১৫ মার্চ তাসকিন চেন্নাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেকানিক্যাল সেন্টারে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন। সানির পরীক্ষার ফলাফল সপ্তাহ পর দিলেও তাসকিনের ফলাফল পাওয়া গেল মাত্র চার দিনের মাথায়। আর এতে নিষিদ্ধ হন দুই জনই।
আরটি/আইএইচএস/আরআইপি