দিলশান ঝড়ে আফগানদের হারালো শ্রীলঙ্কা
স্রেফ অভিজ্ঞতার কাছেই হারতে হলো আফগানিস্তানকে। না-হয় কলকাতার ইডেন গার্ডেনে ১৫৩ রান করে আফগানিস্তানের মতো দল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল, তা কোনোমতেই কম ছিল না। বোলিংয়েও বেশ ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিল তারা।
কিন্তু অভিজ্ঞ তিলকারত্নে দিলশানের কাছেই শেষ পর্যন্ত হারতে হলো যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশ আফগানিস্তানকে। ৬ উইকেটে আফগানদের হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দারুণ সূচনা করলো বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা।
আফগানদের গড়া ১৫৩ রানের জবাব দিতে নেমে ৭ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা। দিলশান অপরাজিত থাকেন ৮৩ রানে। ৫৬ বলে ৮টি বাউন্ডারি এবং ৩টি ছক্কার সাহায্যে তিনি এ রান করেন।
১৫৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার তিলকারত্নে দিলশান এবং দিনেশ চান্ডিমাল। যদিও ৪১ রানের জুটি গড়ার পর এই জুটিতে ভাঙন ধরান মোহাম্মদ নবি। ১৭ বলে ১৮ রান করে ফিরে যান চান্ডিমাল। এরপর মাঠে নামেন লাহিরু থিরিমান্নে। ১৩ বল খেলে মাত্র ৬ রান করে তিনিও বিদায় নেন রশিদ খানের বলে।
দিলশান আর থিসারা পেরেরা মিলে জুটি বেঁধে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন লঙ্কানদের। তবে দলীয় ৮৫ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১২ রানে আউট হয়ে যান পেরেরাও। দলীয় ১১৩ রানের মাথায় রান আউট হন চামারা কাপুগেদারাও। তবে জয়ের জন্য বাকি কাজটুকু সারতে দিলশান-ম্যাথিউজ জুটির খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি। ১০ বলে ২১ রান করেন ম্যাথিউজও।
তবে আফগানরাও লড়াই করেছে বেশ। লঙ্কানদের চার উইকেট ফেলে দেয়াই নয় শুধু, ইনিংসের ১৫-১৬ ওভার পর্যন্ত রান বেঁধে রেখে লড়াই ধরে রাখতে পেরেছিল তারা। শেষ দিকে এসে দিলশান আর ম্যাথিউজের ঝড়ের সামনেই বরং হেরেছে অনভিজ্ঞ আফগানিস্তান।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব স্লো হলেও শেষ ১০ ওভারে ঝড় তুলে আফগানিস্তান ৭ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ১৫৩ রান। শেষ ১০ ওভারে তারা সংগ্রহ করে ১০৬ রান। শেষ ৮ ওভারেই উঠেছে ৯৪ রান। যার মধ্যে ৬২ রানই করেন অধিনায়ক আসগর স্টানিকজাই। তার এই ইনিংস সাজানো ছিল ৪৭ বলে, ৩ চার আর ৪ ছক্কায়।
সামিউল্লাহ সেনওয়ারি করেন ১৪ বলে ৩১ রান। ৩ বলে ১২ রান করেন নজিবুল্লাহ জাদরান। লঙ্কানদের মধ্যে থিসারা পেরেরা নেন ৩৩ রানে ৩ উইকেট। ২ উইকেট নেন রঙ্গনা হেরাথ।
আইএইচএস/বিএ