৫৫ রানে হারলো বাংলাদেশ
২০২ রানের বিশাল লক্ষ্য। এই লক্ষ্য তাড়া করতে হলে অবিশ্বাস্য কিছুই করা প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। কিন্তু অবিশ্বাস্য কিছু করার জন্য যাদের ব্যাটের দিকে তাকিয়ে ছিল পুরো বাংলাদেশ, তাদের ব্যাট আজ আর হাসেনি। ফলে ৬ উইকেটে ১৪৬ রানেই থেমে যেতে হলো বাংলাদেশকে এবং পাকিস্তানের কাছে ৫৫ রানের পরাজয় দিয়েই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্ব শুরু করলো বাংলাদেশ।
পরাজয়ের এই ম্যাচটিতে অবশ্য প্রাপ্তি হলো সাকিব আল হাসানের অসাধারণ একটি হাফ সেঞ্চুরি। ৪০ বলে ৫০ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। একই সঙ্গে সৌম্য সরকারের অসাধারণ একটি ক্যাচ। এই মাচে আবার দ্বিতীয় বাংলাদেশী ব্যাটসম্যান হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে এক হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করলেন সাকিব আল হাসান। সে সঙ্গে বাংলাদেশের কাছে টানা ৫টি হারের পর অবশেষে জয়ের দেখা পেলো পাকিস্তান।
২০১ রান তাড়া করে বাংলাদেশের জয় ছিল প্রায় অসম্ভবই। তবে সে জন্য দুই ওপেনারের ওপর দায়িত্বটাও অনেক বেশি। কিন্তু সৌম্য সরকারের সময়টা যে খারাপই চলছে! সুতরাং, খারাপ সময়টা থেকে বের হতে পারলেন না পাকিস্তানের বিপক্ষে এই ম্যাচেও। প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই মোহাম্মদ আমিরের বলে বোল্ড হয়ে গেলেন সৌম্য সরকার। বাংলাদেশের রান তখন মাত্র ১।
তবে সৌম্য আউট হলেও তামিম এবং সাব্বির মিলে বাংলাদেশের ইনিংস গড়ার চেষ্টা করছেন। বাংলাদেশ দলের ইনফর্ম ব্যাটসম্যান এ দু’জন। তাদের ব্যাট গত বেশ কিছুদিন ধরেই কথা বলছিল বাংলাদেশের হয়ে। তবে, খুব বেশি টিকতে পারেনি এ জুটি। উইকেটে সেট হয়ে মাত্র খেলা শুরু করছিলেন তারা দু’জন। গড়েন ৪৩ রানের জুটি।
কিন্তু ৬ষ্ঠ ওভারের ৫ম বলে আফ্রিদির বলে বোল্ড হয়ে যান সাব্বির রহমান। আউট হওয়ার আগে ১৯ বলে ২৫ রান করেন সাব্বির। ৫টি বাউন্ডারির মার মারেন তিনি। সাব্বির আউট হয়ে যাওয়ার পর তামিম আর সাকিব মিলে গড়েন মাত্র ১৪ রানের জুটি। ইনফর্ম ব্যাটসম্যান তামিমও আজ নামের প্রতি সুবিচার করতে পারনেনি। ২০ বলে মাত্র ২৪ রান করে আউট হয়ে যান আফ্রিদির বলে ইমাদ ওয়াসিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে।
বাংলাদেশের আরেক আশার প্রতীক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ মাঠে নেমেছিলেন একরাশ প্রত্যাশা নিয়ে। কিন্তু তিনিও হতাশা উপহার দিলেন। মাত্র ৪ রান করে ইমাদ ওয়াসিমের বলে ক্যাচ দিলেন শারজিল খানের হাতে। ৭১ রানের মাথায় আউট হলেন রিয়াদ।
আইএইচএস/আরআইপি