বিশ্বকাপে আতংকের নাম বাংলাদেশ
ওয়ানডেতে গত বছর থেকেই প্রশংসনীয় ক্রিকেট খেলছে বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে বিদায় করে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে বিশ্ব মিডিয়ায় আলোচনার ঝড় তুলেছিলেন টাইগাররা। এরপর পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মত বাঘা বাঘা দলকে হারানোর পর থেকেই নিজেদের জায়ান্ট হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে মাশরাফিরা। সে তুলনায় ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ টি-টোয়েন্টিতে তেমন সুবিধা করে উঠতে পারছিলেন না তারা।
তবে চলতি বছর এশিয়া কাপ থেকেই এ সংস্করণেও ধারাবাহিক ক্রিকেট খেলছেন মাশরাফি-সাকিবরা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বেও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে জায়াগা করে নিয়েছেন মূল পর্বে। তাই ক্রিকেট বিশ্বে নতুন আতংকের নাম বাংলাদেশ। সব ক্রিকেট দলই এখন দারুণ সমীহ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশকে।
আগের দিনই ভারতের স্পিনার টুইট করেছিলেন ‘বাংলাদেশ জিতলে পুরো দেশ খুশি হবে আর ওমান জিতলে ক্রিকেট বিশ্ব খুশি হবে।’ স্বাভাবিকভাবেই পুরো দেশ বলেত বাংলাদেশকেই বুঝিয়েছিলেন। তার মানে তিনি চাচ্ছিলেন জয়টা ওমানের হোক। কিন্তু কেন? কারণ একটাই হতে পারে বাংলাদেশ উঠলে তাদের বিপক্ষে জয় পেতে কতটা ঘাম ঝরবে তাদের। কদিন আগে ভারতে পা রেখেই পাকিস্তান কোচ ওয়াকার বলেছিলেন, ‘আমাদের বড় দুশ্চিন্তা বাংলাদেশ। সাম্প্রতিক সময়ে বড় উন্নতির মধ্যে রয়েছে তারা। তাদের হারানো খুবই কঠিন।’
বাংলাদেশের গ্রুপের অন্য দুই দল অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড মুখে কুলূপ এঁটে রয়েছেন। তার মানে এই নয় যে নিজেদের গ্রুপে বাংলাদেশকে দেখে তারা স্বস্তিতে রয়েছেন। অস্ট্রেলিয়া ভালো করেই জানে বাংলাদেশের শক্তির কথা। তাই গত বছর নিরাপত্তার অজুহাতে বাংলাদেশ সফরেই আসেনি তারা। আর নিউজিল্যান্ড একাধিকবার টাইগারদের হাতে ধবলধোলাই হওয়ার পর তারা ভালোই জানেন মাশরাফিরা মাঠে কতটা ভয়ংকর।
এছাড়াও ক্রিকইনফোর প্রশ্নে ছিল এবারের বিশ্বকাপে কোন দল চমক দিবে? সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক মাইকেল ভন, শ্রীলংকান কিংবদন্তী কুমার সাঙ্গাকারা, মাহেলা জয়াবর্ধনে, দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তী ফিল্ডার জন্টি রোডস, সাবেক ইংলিশ স্পিনার গ্রায়েম সোয়ান, কিংবদন্তী ক্যারিবীয় পেসার কোর্টনি ওয়ালশরা এক বাক্যে বলেছিলেন বাংলাদেশের কথা। এবারের বিশ্বকাপে নিঃসন্দেহে বড় দলগুলোর জন্য আতংক তাই বাংলাদেশ। যদিও সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে বাংলাদেশকে আর ছোট না বলাই ঠিক।
আরটি/এআরএস/এবিএস