ম্যাচ পরিত্যক্ত : পয়েন্ট ভাগাভাগি
শেষ পর্যন্ত ধর্মশালায় বৃষ্টিরই জয় হলো। ভোর থেকে টানা বৃষ্টি। দিনের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডস-ওমান ম্যাচটিও পরিত্যক্ত হয়েছিল বৃষ্টির কারণে। সংশয় ছিল বাংলাদেশ ম্যাচ নিয়েও। বৃষ্টি থেমে যাওয়ায় কার্টেল ওভারের ম্যাচ শুরু করা হলেও বৃষ্টির ভাগড়ায় আবার খেলা বন্ধ। শেষ পর্যন্ত আর খেলা শুরু করা গেল না। মুষলধারে বৃষ্টি দেখেই ম্যাচ পরিত্যক্তের ঘোষণা দেন ম্যাচ রেফারি।
ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার ফলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নিতে হলো বাংলাদেশ এবং আয়ারল্যান্ডকে। এই ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার ফলে সবচেয়ে ক্ষতি হলো আয়ারল্যান্ডেরই। নিজেদের পরীক্ষা করার সুযোগ না পেয়েই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়ে নিতে হলো তাদের। যদিও এই ম্যাচে হারলেই বিদায় নিশ্চিত ছিল তাদের।
বৃষ্টির আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৮ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৯৪ রান করেছিল বাংলাদেশ। বৃষ্টির কারণে মাত্র ১২ ওভারের খেলা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এই ১২ ওভারেই বড় রানের লক্ষ্য দাঁড় করিয়ে দেয়ার ইচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। সে লক্ষ্যেই ব্যাট করছেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং সৌম্য সরকার।
প্রথম ওভার থেকে দু’জন মিলে নিয়েছেন মাত্র ৪ রান। এ ওভারের ৪র্থ বলেই বড় বাঁচা বেঁচেছেন সৌম্য সরকার। আকাশে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন। মিড উইকেটে ম্যাকব্রাইন হাতে নিলেও তালুবন্ধী করে রাখতে পারেননি। ফলে বেঁচে গেলেন সৌম্য।
দ্বিতীয় ওভারেই পিটুনি শুরু। তামিম আর সৌম্য মিলে নিলেন এ ওভার থেকে ১৬ রান। তৃতীয় ওভারেও তামিম ইকবাল অ্যান্ড শো। পর পর দুই বল করলেন বাউন্ডারি এবং ওভার বাউন্ডারি ছাড়া। এভাবেই শুরু হয়েছে আইরিশ বোলারদের ওপর বাংলাদেশের দুই ওপেনারের তাণ্ডব। উইলিয়াম পোর্টারফিল্ডদের ওপর সবচেয়ে বেশি তাণ্ডব চালিয়েছেন তামিম ইকবালই।
৪.৪ ওভারেই ৬১ রানের জুটি গড়ে ফেলেন সৌম্য আর তামিম। অবশেষে ১৩ বলে ২০ রান করে আউট হন সৌম্য সরকার। ৮ম ওভারের শেষ বলে আউট হন তামিম ইকবাল। ২৬ বলে ৩টি বাউন্ডারি এবং ৪টি ছক্কায় ৪৭ রান করে আউট হন তিনি। এরপরই নামে বৃষ্টি। যেটা আর শেষ পর্যন্ত খেলাই মাঠে গড়াতে দিল না।
আইএইচএস/আরএস