টিকিট নিয়ে মিরপুর রণক্ষেত্র
এশিয়া কাপে বাংলাদেশ বনাম ভারতের ফাইনাল দেখতে হবে। সুতরাং একটি টিকিট চাই। এই একটি টিকিটের জন্যই রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে মিরপুর। টিকিট প্রত্যাশিদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং টিয়ারশেল ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় এক আতঙ্কজন পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচক্কর থেকে ২ নম্বর পর্যন্ত।
এশিয়া কাপ ফাইনালের জন্য কথা ছিল ইউসিবি ব্যাংকের মিরপুর শাখায় সরাসরি টাকা দিয়ে দর্শকরা টিকিট কিনতে পারবেন। ফাইনালের টিকিট পেতে ৩৬ ঘণ্টা আগেই সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন মাশরাফিদের ভক্তরা। শনিবার সকাল ১০টা থেকে টিকিট ছাড়ার কথা; কিন্তু নির্ধারিত সময়ের পর আরও দেড় ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও খোলা হচ্ছে না ব্যাংক।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিটের যখন কোন হদিস মিলছিল না, ব্যাংক খোলা হচ্ছিল না, তখনই উত্তেজিত হয়ে পড়ে জনতা। তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়। ফলে আরও বেশি ক্ষেপে যায় টিকিট প্রত্যাশিরা। যে কারণে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াও চলতে থাকে। এক পর্যায়ে বেপরোয়া লাঠিচার্জ করে টিকিট প্রত্যাশিদের ইউসিবি ব্যাংকের সামনে থেকে সরিয়ে দেয় এবং রাস্তা খালি করে দেয়।
এরপর দর্শকরা ছড়িয়ে পড়ে মিরপুর ১০ নাম্বার গোলচক্কর পর্যন্ত। পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। মিরপুর ১০ নাম্বারে একদল উত্তেজিত দর্শক গাড়ি ভাঙচুরেরও চেষ্টা চালায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনায় সে চেষ্টা সফল হয়নি। অনেকেই আশ-পাশের বাড়ির জানালার গ্লাস ভাঙচুরও করে।
পুলিশের লাঠিচার্জের আগে ৩৬ ঘণ্টা আগে থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন। কেউবা পানিশূন্যতায় ঢলে পড়ছেন রাস্তর ওপরই। এ সুযোগে অনেকেই লাইন ভেঙ্গে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করছেন; কিন্তু লাইনইবা কোথায়? ছোট্ট জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। কেউবা পাশের দেয়ালে ধরে ঝুলে রয়েছেন। এ নিয়ে রীতিমত মত সকাল থেকেই শুরু হয় লঙ্কাকাণ্ড। এদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশও বেপরোয়া। লাঠিচার্জ করতে হচ্ছে টিকিট প্রত্যাশীদের ওপর। আনা হয় জলকামানও।
আরটি/আইএইচএস/এমএস