আফ্রিদিদের নিরাপত্তা দেবে না ভারত সরকার!
পাকিস্তান-ভারত ক্রিকেট সম্পর্ক আবারও পড়ে গেলো গভির অনিশ্চয়তায়। দু’দেশের মধ্যে সিরিজ আয়োজনের সব প্রস্তুতি যখনই সম্পন্ন হয়ে আসে, তখন কোন না কোন সমস্যা সামনে এসে উপস্থিত হবেই এবং ভেস্তে যাবে সেই সিরিজ। এবার যখন বিশ্বকাপে আবারও ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হতে যাচ্ছে, তখনই নতুন করে সামনে চলে নতুন সমস্যা।
সুতরাং, বিশ্বকাপে ভারতে গিয়ে পাকিস্তানের খেলা আবারও পড়ে গেলো গভির অনিশ্চয়তায়। হিমাচলের ধর্মশালা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে চলছে ভারতে তুমুল রাজনৈতিক উত্তেজনা। এরই মধ্যে হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বিরভদ্র সিং জানিয়ে দিয়েছেন, বিশ্বকাপে পাকিস্তান-ভারত ম্যাচে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের জন্য কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না। এরপরও যদি, এখানে পাকিস্তানের বিপক্ষে কোন ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় এবং পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়, তাহলে এর জন্য দায়-দায়িত্ব নেবে না আমার সরকার।
বিশ্বকাপে আগামী ১৯ মার্চ মুখোমুখি হওয়ার কথা রয়েছে দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত এবং পাকিস্তান। কিন্তু এখন যে পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে, তাতে ম্যাচটি আদৌ অনুষ্ঠিত হবে কি না, কিংবা অনুষ্ঠিত হলেও কোন ভেন্যুতে হবে, সেটাই পড়েছে অনিশ্চয়তার ঘোর অন্ধকারে।
পাকিস্তানের সঙ্গে পাঠানকোটে হামলার ঘটনায় হিমাচলের অনেক সেনাই প্রাণ হারিয়েছেন। ওই ঘটনায় হিমাচলবাসীর ভাষায় অনেকেই ‘শহীদ’ হয়েছেন। পাকিস্তান যদি হিমাচলে খেলতে আসে, তাহলে এটাকে তারা শহীদদের অবমাননা হিসেবেই দেখছে। সুতরাং, কোনভাবেই পাকিস্তানকে ধর্মশালায় খেলতে দিতে চায় না দেশটির উগ্রপন্থীরা।
বীরভদ্র সিং জানিয়ে দিয়েছেন, হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় কোনোভাবেই পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা দেয়া হবে না। হিমাচল প্রদেশ সরকারের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এএফপিকে জানিয়েছে, ‘আমরা পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা দিতে ইচ্ছুক নই। এটা এমন একটা ম্যাচ যেটা নিয়ে ইতিমধ্যে আমাদের অনিচ্ছা, অনীহা এবং বিরক্তি প্রকাশ করেছি। আমরা চাই এখানে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত না হোক। আর আমাদের সিদ্ধান্ত হচ্ছে হিমাচলের জনগণের সিদ্ধান্ত।’
বীরভদ্র সিং জানিয়ে দিয়েছেন, আমরা সরকারের কাছে আবেদন করেছি, ধর্মশালায় ম্যাচটি আয়োজন না করতে এবং এটাকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে। কারণ, এখানকার জনগণ চায় না পাকিস্তানিরা ধর্মশালায় এসে উল্লাস প্রকাশ করুক। যা হবে আমাদের শহীদদের প্রতি অবমাননা।
পাকিস্তানের এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) চায় খুব দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান হোক। পিসিবি চেয়ারম্যান শাহরিয়ার খান জানিয়েছেন, সমস্যাটি শুধুমাত্র আমাদের জন্যই নয়, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইয়ের জন্যও। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি শশাঙ্ক মনোহর আমাকে জানিয়েছেন বোর্ড সেক্রেটারি অনুরাগ ঠাকুর বিষয়টা দেখছেন এবং খুব দ্রুতই এ সমস্যার সমধান হয়ে যাবে।’
আইএইচএস/এসকেডি