ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

দুঃসময়ে সমর্থকদের পাশে চান তাসকিন

প্রকাশিত: ০২:৩৫ পিএম, ০৩ মার্চ ২০১৬

ভারত সিরিজের পরেই ইনজুরিতে পড়েছিলেন বাংলাদেশের গতিময় পেসার তাসকিন আহমেদ। এরপর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খেললেও নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি তিনি। জিম্বাবুয়ে সিরিজেও ছিলেন দলে; কিন্তু ভালো খেলতে না পারায় অনেকেই তার শেষ দেখে ফেলেছিলেন। অনেকেই নানা সমালোচনার বাণেও বিদ্ধ করেছেন। তবে এশিয়া কাপে আবার নিজের জাত ছেনালেন এ পেসার। তাই সুসময়েই নয় শুধু দুঃসময়েও সমর্থকদের পাশে থাকার আহ্বান জানালেন তাসকিন।

বৃহস্পতিবার নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘সমর্থকরাতো সবই দেখছে। সবার কাছে একটাই চাওয়া আপনারা সবাই আমাদের পাশে থাকবেন, আমাদের সমর্থন করবেন। দুই-একটা খেলোয়াড় মাঝে মধ্যেই অফফর্মে আসতে পারে, তখন তাদের পাশে থাকাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় সমালোচনা না করে উৎসাহ দিলে সে আরও বেশি ভালো খেলবে। ভালো সময় যেমন পাশে থাকেন, তেমন করে খারাপ সময়ও কাছে থাকবেন। তাহলে আমরা আরও ভালো খেলতে পারবো, আমাদের দেশকে আরও উপরে নিয়ে যেতে পারবো।’

বিপিএলে চিটাগাং ভাইকিংসের হয়ে খেলেছিলেন তাসকিন; কিন্তু নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে না পারায় বেশির ভাগ ম্যাচ তাকে সাইড ব্যাঞ্চেই থাকতে হয়েছে। ইনজুরি থেকে ফিরেই বিপিএল খেলায় তার ছন্দ খুঁজে পাননি বলে জানান তাসকিন। তবে ছন্দে ফেরার আসল রহস্য হলো, চট্টগ্রাম এবং খুলনায় অনুশীলনের পর এবং দলের সিনিয়র খেলোয়াড়দের সমর্থন। শুধু তাই নয়, দেশের হয়ে মাঠে নামলেই নিজের সেরাটা সহজেই খুঁজে পান তাসকিন আহমেদ।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইনজুরি থেকেই উঠেই বিপিএলটা খেলেছিলাম, খুব একটা ভালো ছন্দে ছিলাম না। তারপরও আমি আমার সেরা চেষ্টাটাই করেছিলাম। কয়েকটা ম্যাচ ছাড়া বিপিএলের বেশিরভাগ ম্যাচই ভালো বল করতে পারি নাই। জিম্বাবুয়ে সিরিজে একটা ম্যাচে চান্স পেয়েছিলাম সেটা মোটামুটি হয়েছে। পরে খুলনা এবং চট্টগ্রামে সেখানে ভালো অনুশীলন করেছি। ওই অনুশীলনটাই আমার অনেক সহয়তা করেছে। আর সত্যি কথা হচ্ছে দেশের হয়ে খেলতে নামলে এমনি শতভাগ চলে আসে। প্রত্যেকটা বল সেরাটা দিয়ে করছি, কারণ আমি যদি ভালো করতে পারি, আমার থেকে বেশি দল লাভবান হবে। এটাই আমার লক্ষ্য যে ভালো জায়গায় বল করা।’

উল্লেখ্য, আগামী রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ভারতের বিপক্ষে শিরোপার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

আরটি/আইএইচএস/পিআর