‘অলিম্পিকে কোয়ালিফাই করতে চাই’
সদ্য সমাপ্ত জাতীয় শ্যুটিং চ্যাম্পিয়নশিপে ছেলেদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে স্বর্ণ জিতে চমক দেখিয়েছেন অর্ণব শারার। বিকেএসপির সাবেক এই শিক্ষার্থী ফাইনালে ১৬-১০ পয়েন্টে তামজিদ বিন আলমকে হারিয়ে স্বর্ণের হাসি হেসেছেন।
জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম স্বর্ণ পাওয়া অর্ণবের এখন লক্ষ্য অলিম্পিক গেমসে কোয়ালিফাই করা। সেভাবেই নিজেকে তৈরি করছেন রাজধানী শ্যুটিং ক্লাবের অর্ণব। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণজয় এবং ভবিষ্যত লক্ষ্য নিয়ে জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন অর্ণব শারার।
জাগো নিউজ: অনেকদিন পর জাতীয় শ্যুটিং চ্যাম্পিয়নশিপ হলো এবং সেখানে আপনি ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে স্বর্ণ জিতে সবাইকে চমকে দিয়েছেন। কেমন অনুভূতি আপনার?
অর্ণব শারার: অনুভূতি অবশ্যই খুশির। কারণ, এটা আমরা জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম স্বর্ণ জয়।
জাগো নিউজ: এর আগে আপনি কয়বার জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ খেলেছেন?
অর্ণব শারার: এর আগে আমি দুইবার ২০১৬ ও ২০১৭ সালে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ খেলেছি। তখন আমি অনেক জুনিয়র ছিলাম। বিকেএসপির ছাত্র থাকা অবস্থায় ওই দুইবার জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেই।
জাগো নিউজ: বিকেএসপির শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায়তো আপনি এশিয়ার এয়ারগান চ্যাম্পিয়নশিপের যুব বিভাগে স্বর্ণ জিতেছিলেন।
অর্ণব শারার: হ্যা। সেটা ২০১৭ সালের ঘটনা। জাপানে আমি ২৪৯.৫ স্কোর করে রৌপ্য জিতেছিলাম।
জাগো নিউজ: এবারের জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপতো হলো নতুন নিয়মে। তো কেমন উপভোগ করলেন নতুন নিয়মের ফাইনাল?
অর্ণব শারার: বেশ উপভোগ্য। এখন স্বর্ণের লড়াইটা দুইজনের মধ্যে হয়। যে প্রথম ১৬ পয়েন্ট স্কোর করতে পারেন তিনি জিতেন।
জাগো নিউজ: এ মাসের শেষ দিকে ভারতের ভুপালে হবে আইএসএসএফ ওয়ার্ল্ড কাপ। আপনি বাংলাদেশ দলের একজন সদস্য। ওয়ার্ল্ড কাপে আপনার লক্ষ্য কি?
অর্ণব শারার: এটি হবে আমার পঞ্চম ওয়ার্ল্ড কাপ। প্রথম ২০১৭ সালে জার্মানীতে ওয়ার্ল্ড কাপে অংশ নিয়েছিলাম। আগের চার আসরে সেভাবে ভালো করতে পারিনি। এবার ভালো কিছু করার লক্ষ্য নিয়েই যাবো।
জাগো নিউজ: ভুপালে ভালো করলে তো আপনার আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে পয়েন্ট যোগ হবে তাই না?
অর্ণব শারার: অনেক দিন ইন্টারন্যাশনাল না খেলার কারণে আমার এখনো র্যাংকিং পয়েন্ট নেই। এখানে ভালো কিছু করতে পারলেও পয়েন্ট যোগ হওয়া শুরু হবে।
জাগো নিউজ: প্যারিস অলিম্পিকের আগে কয়েকটি ওয়ার্ল্ড কাপ পাবেন যেখানে কোটা অর্জনের সুযোগও থাকবে তাই না?
অর্ণব শারার: আসলে আমার লক্ষ্যই অলিম্পিকে কোয়ালিফাই করা। যে কোন শ্যুটারেরই এ লক্ষ্য থাকে। অলিম্পিকের আগে কয়েকটি সুযোগ পাবো।
জাগো নিউজ: আপনি রাজধানী শ্যুটিং ক্লাবে কতদিন ধরে আছেন?
অর্ণব শারার: আমি ৩ বছর বাংলাদেশ নৌবাহিনী শ্যুটিং ক্লাবে ছিলাম। ৭-৮ মাস হয়েছে রাজধানী শ্যুটিং ক্লাবে যোগ দিয়েছি।
জাগো নিউজ: জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণজয়ের পর তো আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েই ওয়ার্ল্ডকাপে যেতে পারছেন?
অর্ণব শারার: আসলে শ্যুটিং খেলাটা হলো মনস্তাত্বিক। ম্যাচ টেম্পারমেন্টটাও গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় প্রতিযোগিতায় খেলে মনসংযোগ নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগটা তৈরি হয়। আত্মবিশ্বাসতো অবশ্যই বেড়েছে।
জাগো নিউজ: ধন্যবাদ।
অর্ণব শারার: আপনাকেও ধন্যবাদ।
আরআই/আইএইচএস/