লড়াইটা মালিঙ্গা-মুস্তাফিজের
উদ্বোধনী ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে চেনা ছন্দে খুঁজে পাওয়া যায়নি বাংলাদেশ দলের নতুন পেস সেনসেশন মুস্তাফিজুর রহমানকে। তবে পরের ম্যাচেই আমিরাতের বিপক্ষে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। দুর্দান্ত বোলিং করে দলের জয়ে রেখেছেন দারুণ অবদান। অপরদিকে নিজেদের প্রথম ম্যাচে একাই আমিরাতকে কাবু করে দিয়েছেন শ্রীলংকার অধিনায়ক লাসিথ মালিঙ্গা। তাই বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা- দুই দেশের লড়াইয়ের মধ্যে মালিঙ্গা-মুস্তাফিজের ব্যাক্তিগত লড়াইটাও আকর্ষনীয় হয়ে উঠেছে দর্শকদের কাছে।
অভিষেকের পর থেকেই বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান ভরসা মুস্তাফিজ। স্বপ্নের মত কাটানো ২০১৫ সালের প্রায় সবগুলো জয়ের মূল কারিগর ছিলেন তিনি। তাই এবারো বাংলাদেশ চেয়ে থাকবে তার দিকে। যদিও দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা বলেছেন, ‘প্রতিদিন মুস্তাফিজের কাছে সবকিছু চাওয়া ঠিক নয়। এটা কখনোই সম্ভব নয়। দলের সবাইকে অবদান রাখতে হবে।’
মুস্তাফিজকে শক্ত প্রতিপক্ষ মানছেন লঙ্কান অধিনায়ক মালিঙ্গাও। সাম্প্রতিক সময়ের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে তার সম্পর্কে তিনি বলছেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্যই নয় শুধু, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্যও মুস্তাফিজ দারুণ এক সম্পদ। সে সত্যিই খুব ভালো খেলছে।’ তবে মুস্তাফিজকে মোকাবেলা করার রশদ তাদের দলে রয়েছে বলেও জানান।
শক্ত প্রতিপক্ষ মালিঙ্গাও। প্রথম ম্যাচে একাই চারটি উইকেট তুলে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন আমিরাতের ইনিংস। ম্যাচে শেষে বলেছিলেন, এটা তার সেরা পারফরম্যান্স নয়। ৬০ সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ। ইনজুরি থেকে ফিরে এখনো শতভাগ দিতে পারছেন না। তবে পরের ম্যাচে দেবার চেষ্টা করবেন। সত্যিই যদি আজ শতভাগ দিতে পারেন তাহলে দুর্ভাগ্যই রয়েছে টাইগারদের কপালে।
মালিঙ্গার সঙ্গে দারুণ ফর্মে রয়েছেন আরেক পেসার নুয়ান কুলাসেকেরাও। আমিরাতের বিপক্ষে চার ওভার বল করে উইকেট নিয়েছেন ৩টি তবে বড় কথা হচ্ছে রান দেওয়ার ক্ষেত্রে দারুণ কৃপণ ছিলেন তিনি। মাত্র ১০ রান দিয়েছিলেন সেদিন। অপরদিকে মুস্তাফিজের সঙ্গে বাংলাদেশের অন্য পেসাররাও ভালো করছেন। শুরু থেকেই ছন্দে রয়েছেন মাশরাফি, আল-আমিন ও তাসকিন। তাই লড়াইটা দুই দলের পেসারদেরও।
আরটি/আইএইচএস/পিআর