ভারতের কাছে বিধ্বস্ত পাকিস্তান
পুরো খেলায় পাকিস্তান ম্যাচে ছিল কখন! খুব সহজেই উত্তরটা দেয়া যাবে। কেন, ভারতীয় ইনিংসের প্রথম ওভারে! একদন সঠিক উত্তর। মোহাম্মদ আমিরের ওই ওভারটি ছাড়া পুরো ম্যাচে খুঁজেও পাওয়া যায়নি পাকিস্তানকে। ৮৩ রানে অলআউট হয়ে যাওয়ার পর বোলিং করতে নেমে আমিরের ওই ওভার ছাড়া ভারত আর বিপদেই পড়েনি। বরং বিরাট কোহলির দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে বিধ্বস্ত করে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখলো ভারত।
মাঠে গড়ানোর আগেই পাকিস্তান-ভারত ম্যাচটি নিয়ে ছিল তুমুল উত্তেজনা; কিন্তু সেই উত্তেজনা খেলা মাঠে গড়ানোর পরই উধাও হয়ে যায়। টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর পর শুরুতেই ভারতীয় বোলারদের তোপের মুখে পড়ে পাকিস্তান। যার ধারাবাহিকতা ইনিংসের শেষ পর্যন্ত। ফলে ৮৩ রানে অলআউট পাকিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নামার পর ভারতীয় ইনিংসে প্রথম ওভারেই যা একটু ধাক্কা দিয়েছিলেন পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আমির।
পাকিস্তানকে ৮৩ রানে শেষ করে দিয়ে স্বস্তিতে ব্যাটিং শুরু করতে পারেনি ভারত। পাকিস্তানি পেস আক্রমণের শুরুতেই রীতিমত কাঁপতে শুরু করেছে তাদের শক্তিশালি ব্যাটিং লাইনআপ। ভয়ঙ্কর ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মাকে ফিরিয়ে দিয়ে পাকিস্তানকে দুর্দান্ত ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছিলেন মোহাম্মদ আমির। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই রোহিতকে এলবিডব্লিউ করলেন তিনি।
প্রথম বলেই জোরালো আবেদন ছিল এলবির। কিন্তু আম্পায়ার আউট দিলেন। দ্বিতীয় বলে আবারও ইয়র্কার। রোহিম ব্যাটেই লাগাতে পারলেন না। লাগলো প্যাডে। জোরালো আবেদন আবারও। এবার আম্পায়ার আঙ্গুল তুলে দিলেন।
এরপর আর একটি বল দিলেন বিরতি। এক রান নিলেন বিরাট কোহলি। স্ট্রাইকে গিয়েছিলেন রাহানে। কিন্তু আবারও উইকেট। এবারও জোরালো আবেদন। এবারও আঙ্গুল তুলে দিলেন আম্পায়ার রুচিরা পালিয়াঙগুরুগে।
নিজের দ্বিতীয় ওভারে আমির ফিরিয়ে দিলেন সুরেশ রায়নাকেও। আমিরের বলে শট খেলতে গিয়ে ওয়াহাব রিয়াজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। এরপরই আবার পিছিয়ে পড়ে পাকিস্তান। এরপর বিরাট কোহলি আর যুবরাজ সিং মিলে ৬৮ রানের জুটি গড়ে পাকিস্তানকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ৫১ বলে ৪৯ রান করে মোহাম্মদ সামির বলে ফিরে যান কোহলি। যুবরাজ অপরাজিত ছিলেন ১৪ রানে। ধোনি অপরাজিত থাকলেন ৭ রানে।
আইএইচএস/বিএ