ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

৮৩ রানেই অলআউট পাকিস্তান

প্রকাশিত: ০২:৫১ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

তুমুল উত্তেজনাপূর্ণ ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ। ক্রিকেটের এল ক্ল্যাসিকো। এমন ম্যাচের শুরুতেই উত্তেজনার পারদ ছড়িয়ে না পড়লে কী হয়! কিন্তু নাহ, কোনভাবেই উত্তেজনা ছড়াতে পারেনি পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা। বরং, ভারতীয় বোলারদের সাঁড়াসি আক্রমণ আর তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে রানআউটে কাটা পড়ে মাত্র ৮৩ রানেই অলআউট হয়ে গিয়েছে পাকিস্তান। খেলেছে মাত্র ১৭.৩ ওভার।

টি-টোয়েন্টিতে যে ভারত সত্যি উড়ছে, সেটা পাকিস্তানের বিপক্ষে তুমুল উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচটিতেও বোঝা গেলো। টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। ফিল্ডিং নেয়ার সিদ্ধান্তটা যে কেন তিনি নিয়েছেন, সেটাই বুঝিয়ে দিলেন তার বোলাররা। আশিস নেহরা, জসপ্রিত বুমরাহ আর হার্দিক পাণ্ডেরা না যতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিলেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের জন্য, তার চেয়ে নিজেরাই যেন নিজেদের জন্য ভয়ঙ্কর হয়ে উঠলেন আফ্রিদিরা।

একে তো হাইভোল্টেজ ম্যাচ। এমন ম্যাচেই কি না, পাকিস্তানি দলটি পরিচয় দিল চরম অনভিজ্ঞতার। অভিজ্ঞ আফ্রিদি, মোহাম্মদ হাফিজ কিংবা শোয়েব মালিকরা যেন একেবারে তরুণ হয়ে গেছে ভারতীয় বোলারদের সামনে। মিরপুরের উইকেটে সুইং থাকবে, পেসাররা ভালো করবে- এটা ছিল জানাকথা। কিন্তু এমন উইকেটেই কি না তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে স্রেফ আত্মহত্যা করে আসলো পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা।

শুরু থেকেই কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল পাকিস্তান। প্রথম ওভারেই পাকিস্তানি ব্যাটিং লাইনআপের ওপর আঘাতটা হানলেন ভারতীয় পেসার আশিস নেহরা। প্রথম ওভারের ৪র্থ বলেই মোহাম্মদ হাফিজকে ফিরিয়ে দিলেন ভারতীয় এ পেসার। তার হালকা উঠে আসা বলটিকে খোঁচা দিতে গিয়েই ব্যাটের কানায় বল লাগান তিনি এবং সেটা গিয়ে জমা পড়লো ধোনির গ্লাভসে।

টস হেরে প্রথমে ব্যাট করার আমন্ত্রণ পায় পাকিস্তান। ইনিংস ওপেন করতে নামেন শারজিল খান এবং মোহাম্মদ হাফিজ। প্রথম বলটিতে কোন রান নিতে না পারলেও দ্বিতীয় বলেই বাউন্ডারি মারেন হাফিজ। পরের বলে কোন রান নয়, চতুর্থ বলে দিলেন উইকেট।

হাফিজ ফিরে যাওয়ার পর অপর ওপেনার শারজিল খানের সঙ্গে জুটি বাধেন খুররম মনজুর। এ দু’জনের ব্যাটে অনেক দুর এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন পাকিস্তানের। ১৮ রানের জুটি গড়ে তারা সে চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু জসপ্রিত বুমরাহর বলে আজিঙ্কা রাহানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান শারজিল খান। ৫ বলে ৭ রান করেন তিনি।

খুররম মঞ্জুরের সঙ্গে জুটি বাধার জন্য মাঠে নামেন শোয়েব মালিক। অভিজ্ঞ এ দু’জনের ব্যাটে ভর করে ভালো জুটি গড়ার প্রত্যাশা; কিন্তু এই প্রত্যাশাও বেশিদুর এগুলো না। জসপ্রিত বুমরাহর বলে শোয়েব মালিক শট খেললেও রান নিতে দৌড় দেন খুররম মনজুর। বিরাট কোহলি বল কুড়িয়ে নিয়ে সরাসরি থ্রো করেন স্ট্যাম্পে। তাতেই রান আউট খুররম।

অভিজ্ঞ শোয়েব মালিক আর উমর আকমল উইকেটে থিতুই হতে পারলেন না। ৪ রান করে পাণ্ডের বলে ধোনির হাতে ক্যাচ দিলেন শোয়েব। উমর আকমল যুবরাজের বলে হলেন এলবিডব্লিউ।

উমর আকমল আউট হয়ে যাওয়ার পর দায়িত্ব ছিল শহিদ আফ্রিদি আর সরফরাজ আহমেদের। কিন্তু ইনিংসের অষ্টম ওভারের শেষ বলে অহেতুক ২ রান নিতে গিয়ে রান আউট হয়ে গেলেন আফ্রিদি। এই উইকেট পড়ার পরই নিশ্চিত হয়ে গেলো, দুর্দশা ঘটতে যাচ্চে পাকিস্তানের।

সরফরাজই যা একটু প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছেন। একপ্রান্তে তিনি দাঁড়িয়ে থাকলেও, অপর প্রান্তে দেখলেন সতীর্থদের আসা-যাওয়া। অবশেষে ২৪ বলে ২৫ রান করে আউট হয়ে গেলেন তিনিও। হার্দিক পাণ্ডে ৩টি উইকেট নেন। ২ উইকেট নেন রবিন্দ্র জাদেজা। ১টি করে উইকেট নেন নেহরা, বুমরাহ এবং যুবরাজ।


আইএইচএস/আরআইপি

আরও পড়ুন