ম্যাচ ফিক্সিংয়ে শীর্ষে পাকিস্তান ২য় ভারত
ম্যাচ ফিক্সিং ক্রিকেটের প্রধান শত্রু। কিছু দিন আগেই ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার দায়ে জেল খাটতে হয়েছে পাকিস্তানের তিন ক্রিকেটার সালমান বাট, মোহাম্মদ আসিফ ও মোহাম্মদ আমিরকে। তিন পাক ক্রিকেটারের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির পরও ফিক্সিং বন্ধ হয়নি। উল্টো জুয়াড়িরা আর সাবধান হয়েছে। আর বিশ্ব ক্রিকেটে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকা খেলোয়াড়ের সংখ্যা অনুযায়ী প্রথম স্থানে রয়েছে পাকিস্তান। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে এশিয়ার অন্যতম ক্রিকেট পরাশক্তি ভারত।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) ‘বৈশিক দুর্নীতি প্রতিবেদন: ক্রীড়া’ শীর্ষক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এই তথ্য জানিয়েছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশ বাংলাদেশের (টিআইবি) কার্যালয়ে এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
টিআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ক্রিকেটে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সঙ্গে এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের ৬ জন এবং ভারতের ৫ জন খেলোয়াড় সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই তালিকায় বাংলাদেশেরও একজন খেলোয়াড়ের নাম রয়েছে।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ম্যাচ ফিক্সিং বহু পুরনো একটি ইস্যু। ১৯৯৪-৯৫ থেকে এই দুর্নীতির উত্থান শুরু হয়েছে। ১৯৯৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার শেন ওয়ার্ন এবং মার্ক ওয়াহর দুর্নীতির মাধ্যমে ফিক্সিংয়ের বিষয়টি সবার নজরে আসে।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ম্যাচ ফিক্সিংয়ে দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন পাকিস্তানের ৬ জন, ভারতের ৫ জন, দক্ষিণ আফ্রিকার ৪ জন ও অস্ট্রেলিয়ার ২ জন। এছাড়া নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা, কেনিয়া এবং বাংলাদেশের ১ জন করে খেলোয়াড় ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকায় অভিযুক্ত হয়েছে। এদের সবার যথাযত বিচারকার্য শেষে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তিও হয়েছে।
এমআর/এবিএস