মাশরাফির জন্য এশিয়া কাপ জিততে চান রিয়াদ
বাংলাদেশের দলের ক্রিকেটাররা দিনের অনুশীলনে মাঠে নামার আগেই বাতাসের বেগে ছড়িয়ে পড়ে খবরটা। জাতিসংঘের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন মাশরাফি। তার সতীর্থরাও শুনেছেন কথাটা। এমন একজনের সতীর্থ তারা, যাকে জাতিসংঘ তাদের শুভেচ্ছা দূত করে নিয়েছে। এর চেয়ে আর বড় সৌভাগ্য কী হতে পারে!
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ তাই বললেন, ‘অফিসিয়ালি যদি এটা হয়, প্রথম মাশরাফি ভাইকে শুভেচ্ছা। এটা অনেক বড় অর্জন। ওনার জন্য, আমাদের দলের জন্য, দেশের জন্যও। জাতিসংঘের দূত হওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। আমাদের সবার গৌরব এটা। গৌরব পুরো বাংলাদেশের জন্যও।’
আসলেই, বাংলাদেশের ক্রিকেটে এখনই কিংবদন্তি হয়ে গেছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। ১৫টি বছরের মতো দেশের ক্রিকেটকে শুধু দিয়েই যাচ্ছেন নড়াইল এক্সপ্রেস। বিনিময়ে পাওয়া মানুষের ভালোবাসা, সতীর্থদের আস্থা, নির্ভরশীলতা। হাঁটুতে বড় ৭টি অপারেশন নিয়েও যিনি দিব্যি দেশের জন্য জান-প্রাণ দিয়ে খেলতে পারেন, তাকে তো অনন্য মানুষ বলাই যায়। এতো গেলো খেলোয়াড় মাশরাফির কথা। এটুকুতেই তাকে কিংবদন্তি না বলে উপায় নেই। সঙ্গে যদি যোগ করা হয় তার নেতৃত্ব, তাহলে আর কিছুই এখানে প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াতে পারে না। মাশরাফির নেতৃত্বে বাংলাদেশের ক্রিকেট মাত্র এক বছরের ব্যবধানে কোথায় এসে পৌঁছেছে, সেটা অনুধাবন করাটাও যেন কঠিন।
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদরা অনুধাবন করেন। কারণ তারা একই সঙ্গে খেলেন। একই ড্রেসিংরুম শেয়ার করেন। মাশরাফি ব্যক্তি হিসেবে কেমন, সেটা ক্রিকেটারদের চেয়ে বাইরের মানুষের খুব বেশি জানার কথা নয়। মাশরাফি আর সবার চাইতে আলাদা কেন?
ব্যাখ্যা দিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, ‘স্পেসিফিক বলতে গেলেও ওনার অনেক দিক আছে। আমার কাছে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য যেটা মনে হয়, সেটা ওনার লিডারশিপ। ডিফারেন্ট লিডারশিপ, হি ইজ আ চ্যাম্পিয়ন লিডার। এই গুণটা আর সবার থেকে তাকে আলাদা করে। আমরা যারা কাছে থাকি, তারা অনুভব করি। তারা দেখতে পাই। বাইরের কেউ হয়তো অতটা দেখতে পারে না। কিন্তু আমাদের পারফরম্যান্সেই উনার নেতৃত্বের ছায়া দেখা যাচ্ছে। আশা করি উনি আরো ভালোভাবে নেতৃত্ব দিতে পারবেন। আমরা যেন আরও ভালো ফল করতে পারি।’
মাশরাফির নেতৃত্বগুণ নিয়ে আরও যোগ করেন রিয়াদ। তিনি বলেন, ‘এটা মানুষ থেকে মানুষে তারতম্য হয়। নেতৃত্ব ভেতর থেকে অনুভব করার সামর্থ্য হয়তো সবার থাকে না। একেকজনের একেকরকম সামর্থ্য থাকে, গুণ থাকে। এটা অল্প সময়ে ব্যখ্যা করা কঠিন। মাশরাফি ভাইয়ের লিডারশিপ অনন্য।’
সামনে এশিয়া কাপ। মাশরাফিকে উপহার হিসেবে কী দিতে চান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদরা! বাংলাদেশ দলের নির্ভরযোগ্য এই ব্যাটসম্যান বলেন, ‘যদি আমরা ওনাকে কোনো ট্রফি দিতে চাই, এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের চেয়ে বড় কিছু আর হয় না। আমরা চেষ্টা করবো সবাই মিলে, যেন এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে ওনার জন্য যেন খেলতে পারি।’
আইএইচএস/বিএ