তাহলে মুস্তাফিজ না থাকাই আসল কারণ!
পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) অংশ নিচ্ছে মাত্র ৫টি দল। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে প্রতিটি দলই গ্রুপ পর্বে খেলার সুযোগ পেয়েছে ৮টি করে ম্যাচ। গ্রুপ পর্ব থেকে মাত্র ১টি দলকেই বিদায় নিতে হয়েছে। বাকি চার দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্লে-অফ রাউন্ড। গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়া একমাত্র দুর্ভাগা দলটি হচ্ছে লাহোর কালান্দার্স।
অথচ এই দলটিতে কে ছিলেন না! পাকিস্তান ওয়ানডে দলের অধিনায়ক আজহার আলির নেতৃত্বে ক্রিস গেইল, ডোয়াইন ব্র্যাভো, কেভন কুপার, উমর আকমল আবদুল রাজ্জাক, হাম্মাদ আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ানরা ছিলেন। তবুও সবগুলো দলের চেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স প্রদর্শণ করেছে লাহোর।
কেন দলের এমন অবস্থা হলো? খোঁজার চেষ্টা করেছেন লাহোর কালান্দার্সের কর্মকর্তারা। মূলতঃ তারকার ছড়াছড়ি থাকলেও টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই লাহোরের ফ্রাঞ্চাইজিটি পড়েছে বড় সমস্যার মুখে। টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই সবচেয়ে বড় ধাক্কা হিসেবে এসেছিল তাদের জন্য দুটি দুঃসংবাদ। একটা হচ্ছে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ চলাকালীন কনুই ও কাঁধের ইনজুরিতে পড়ে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের পেস সেনসেশন মুস্তাফিজুর রহমান। দ্বিতীয়টা হচ্ছে, ডোপ টেস্টে পজিটিভ প্রমাণিত হওয়ার কারণে দল থেকে ছিটকে গেছেন স্পিনার ইয়াসর শাহ। সুতরাং, এই দুই সেরা বোলারকে ছাড়াই টুর্নামেন্টে খেলতে যেতে হয়েছে লাহোরকে।
দলের ব্যর্থতার কারণ খুঁজতে গিয়ে লাহোর কালান্দার্সের মালিক ফওয়াদ রানা জানান, দলের সেরা দুই তারকা বোলারের অনুপস্থিতিই তাদের ভূগিয়েছে সবচেয়ে বেশি। তাদের অনুপস্থিতিই এই ব্যর্থতার সবচেয়ে বড় কারণ। এই দুই বোলারের অভাবটা পরবর্তীতে কোনভাবেই পুষিয়ে নিতে পারেনি লাহোর।
ফওয়াদ রানা বলেন, `এটা খুবই দুঃখজনক বিষয় যে, আমরা টুর্নামেন্টের প্লে-অফের জন্য কোয়ালিফাই করতে পারিনি। মুস্তাফিজুর রহমান এবং ইয়াসির শাহ-এর না থাকাটাই আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় ক্ষতির কারণ হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, দল এর চেয়েও ভালো করার সামর্থ্য রাখে।`
ফওয়াদ রানা এটাও জানিয়েছেন, তারা চেষ্টা করেছিলেন মুস্তাফিজুরের পরিবর্তে অস্ট্রেলিয়ার পেসার ব্রেট লিকে নেয়ার জন্য। তিনি বলেন, `আমরা চেষ্টা করেছিলাম ব্রেট লিকে নেয়ার জন্য। কিন্তু ততদিনে সেই সুযোগটাও শেষ হয়ে গিয়েছিল।`
আইএইচএস/পিআর