জয়ের সুবাস পাচ্ছে বাংলাদেশ
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের সুবাস পাচ্ছে বাংলাদেশ। কোয়ার্টার ফাইনালের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে যেতে যুবা টাইগারদের দরকার আর ৩ উইকেট আর প্রথম জয় পেতে স্কটল্যান্ডের প্রয়োজন ৪৮ বলে ১২৫ রান।
এর আগে বাংলাদেশ যুবাদের দেওয়া ২৫৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুণ সূচনা করেছে স্কটল্যান্ড। দুই ওপেনার ১২ ওভারে তুলে নেন ৪৮ রান। এরপরই ঘটে ছন্দ পতন। ১৩ তম ওভারে দলের হয়ে ফ্ল্যাককে ফিরিয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে খেলায় ফেরান অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। একই ওভারের শেষ বলে রান আউটের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন ওয়াইজ শাহ।
এরপর ররি জনস্টোন আর জ্যাক ওয়ালারকে সাজঘরে ফিরিয়ে জোড়া আঘাত হানেন সঞ্জিত শাহার পরিবর্তে দলে সুযোগ পাওয়া আরিফুল হক। দলীয় ৮৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পরে স্কটল্যান্ড। এরপর শাওন আরও দুই উইকেট তুলে নিলে বিপদতা আরও বেড়ে যায় স্কটল্যান্ডের।
এর আগে এর আগে রোববার কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ যুব দল। যুব ওয়ানডে ক্রিকেটে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রহকারী হিসেবে নতুন রেকর্ড গড়া শান্তর শতকে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৫৬ রান করে বাংলাদেশ।
তবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি যুবা টাইগারদের। শুরুতেই গাফফারের জোড়া আঘাতে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মোহাম্মদ গাফফারের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে শূন্য রানেই ফেরেন পিনাক ঘোষ। আর অষ্টম ওভারের শেষ বলে গাফফারের দ্বিতীয় শিকারে ফেরেন ১৩ রান করা জয়রাজ শেখ।
তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরেন ওপেনার সাইফ হাসান এবং টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান নাআজমুল হোসেন শান্ত। ১০১ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে প্রাথমিক চাপ সামলে নেন। তবে ৩৩তম ওভারে দলীয় ১১৮ রানে ব্যক্তিগত ৪৯ রানে সাজঘরে ফেরেন সাইফ। এরপর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে মিরাজ এবং শান্ত গড়েন আরো একটি শত রানের জুটি। অধিনায়ক মিরাজ তুলে নেন অর্ধশতক। তবে ৪৮তম ওভারে ক্যাচ আউট হয়ে ৪৮ বলে ব্যক্তিগত ৫১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন টাইগার অধিনায়ক। এরপর একপ্রান্ত আগলে রেখে সাইফুদ্দিন ও সাইদ সরকারকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এনে ২৫৬ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর এনে দেন শান্ত। স্কটল্যান্ডের পক্ষে মোহাম্মদ গাফফার নেন সর্বোচ্চ ৪ উইকেট।
এমআর/পিআর