ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

মাশরাফিদের হারিয়ে দিল তাসকিনরা

প্রকাশিত: ০৩:২৪ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০১৬

জিম্বাবুয়ের সঙ্গে সিরিজ ২-২ ব্যবধানে ড্র করে ঢাকা চলে আসেনি মাশরাফিরা। রয়ে গেছে খুলনাতেই। সেখানেই চলছে এশিয়া কাপ এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি। প্রস্তুতির ফাঁকেই জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা খেলে ফেললেন একটি প্রস্তুতি ম্যাচ। যেখানে মাশরাফিদের বিপক্ষে খেলেছেন, এশিয়া কাপ এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য প্রাথমিক দলে ডাক পাওয়া ২৫ ক্রিকেটারের বাকিরা। এই ম্যাচে শুভাগত-তাসকিনদের সবুজ দলের কাছে ১২ রানে হেরে গেছে মাশরাফি বিন মর্তুজার অধীন লাল দল।  

টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুভাগত হোমের অপরাজিত অর্ধশতক ও আরিফুল হকের ব্যাটে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রানের বিশাল স্কোর দাঁড় করায় বাংলাদেশ সবুজ দল। জবাব দিতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রান করতে সমর্থ হয় মাশরাফির দল। ইনজুরির কারণে এই ম্যাচে খেলেননি মুশফিকুর রহিম ও মুস্তাফিজুর রহমান।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রান করতে সমর্থ হয় লাল দল। ফলে ১২ রানে পরাজয় বরণ করতে হলো মাশরাফিদের।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুরতেই উইকেট হারায় শুভাগতর দল। ইমরুল কায়েস আউট হয়ে যান মাত্র ৭ রান করে। এরপর ১৪ রান করে সাজঘরের পথ দেখেন লিটন কুমার দাসও। এরপরই ঘুরে দাঁড়ায় সবুজ দল। তৃতীয় উইকেট জুটিতে মো. মিথুনকে সঙ্গে নিয়ে সবুজ দলের অধিনায়ক শুভাগত হোম দলকে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান।

যদিও রান আউট হয়ে যান মোহাম্মদ মিথুন। তিনি ২৮ বলে দুটি বাউন্ডারি এবং দুটি ছক্কার সাহায্যে করেন ৩৬ রান। মিথুন আউট হয়ে গেলেও প্রথমবারের জাতীয় দলের স্কোয়াডে জায়গা পাওয়া আরিফুল হককে নিয়ে বাকি সময় পার করে দেন শুভাগত হোম।

শেষ পর্যন্ত উইকেটে টিকে থেকে ৪২ বলে তিনটি বাউন্ডারি আর ২টি ছক্কার সাহায্যে ৬৬ রান করেন তিনি। আরিফুল হক অপরাজিত ছিলেন ২৬ বলে তিনটি চার আর ২টি ছক্কায় ৪৩ রানে। মাশরাফির লাল দলের হয়ে আরাফাত সানি আর আবু হায়দার রনি নেন একটি করে উইকেট।

১৭৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই আউট হয়ে যান ফিরে যান তামিম ইকবাল। ২০ বল খেলে তিনি করেন মাত্র আট রান। এরপর অবশ্য সৌম্য সরকার, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এবং সাব্বির রহমান মিলে দলকে জয়ের দিকেই নিয়ে যাচ্ছিলেন। সৌম্য সরকার আর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ দু’জনই করেন সমান ৩১ রান করে। সৌম্য ২৪ বলে দুটি চার ও ছক্কায় এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ২২ বলে তিনটি চার ও একটি ছক্কায় এই রান করেন। তরুন মুক্তার আলির হাতে দু’জনই উইকেট বিলিয়ে দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন।

তবে শেষ শেষ দিকে সাকিব আল হাসানের ঝড়ো ইনিংস সত্ত্বেও জিততে পারলো না লাল দল। সাকিব মাত্র ৩০ বলে ছয়টি চার ও দুটি ছক্কার সাহায্যে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রানে থেমে যায় মাশরাফির লাল দলের ইনিংস। মুক্তার আলী চার ওভারে ২৯ রান দিয়ে একাই নেন তিন উইকেট। এছাড়া আবুল হাসান রাজু ৩৩ রানে নিয়েছেন দুটি উইকেট।

লাল দল: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাকিব আল হাসান, নাসির হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, মাশরাফি বিন মুর্তজা, আরাফাত সানি, আবু হায়দার রনি, আল আমিন হোসেন ও জুবায়ের হোসেন।

সবুজ দল: ইমরুল কায়েস, লিটন কুমার দাস, মো. মিথুন, শুভাগত হোম, আরিফুল হক, মোসাদ্দেক হোসেন, মুক্তার আলী, আবুল হাসান রাজু, সাকলায়েন সজীব, কামরুল ইসলাম রাব্বী, মো. শহীদ, তাসকিন আহমেদ ও শফিউল ইসলাম।

আইএইচএস/আরআইপি