মিরাজের অবিশ্বাস্য ক্যাচ
এমন ক্যাচের বর্ণনা সাধারণত লিখে প্রকাশ করা যায় না। চোখে না দেখলে বিশ্বাসও করানো যায় না। কেউ কেউ উদাহরণ দিতে পারেন জন্টি রোডসের কথা বলে। কেউ কেউ তার সঙ্গে তুলনাও করবেন; কিন্তু মেহেদী হাসান মিরাজ যে ক্যাচটা নিলেন, সেটাকে আজকের প্রজন্ম রোডসের সঙ্গে তুলনা করবে কি না সন্দেহ আছে।
দুর্ধর্ষ ফিল্ডিংয়ের জন্য কিংবদন্তী হয়ে ওঠা দক্ষিণ আফ্রিকার জন্টি রোডস ক্রিকেট ছেড়েছেন বেশ কয়েকবছর হয়ে গেলো। নতুন প্রজন্ম তার খেলা সরাসরি দেখারই কথা না। সেই জন্টি রোডসেরই দেশের এক ক্রিকেটার লিয়াম স্মিথের ক্যাচটা মিরাজ যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে তালুবন্দী করেছেন, তার তুলনা কেবল তিনি নিজেই।
বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক। কেউ কেউ তাকে ভবিষ্যতের মাশরাফি বলেই আখ্যায়িত করছেন। তেমনই একজন অধিনায়ক যদি এমন পারফরম্যান্স উপহার দেন, তাহলে পুরো দলই উজ্জীবিত হতে বাধ্য। মিরাজ আসলে কী করেছেন!
৩৩ বলে তখন দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের জন্য প্রয়োজন ৬৪ রান। সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন প্রোটিয়া ওপেনার লিয়াম স্মিথ। শেষ পর্যন্ত এই ব্যাটসম্যান যদি টিকে যায়, তাহলে নিশ্চিত বিপদ বাংলাদেশের জন্য। তাকে যে করেই হোক ফেরাতে হবে। অধিনায়ক মিরাজ আস্থা রাখলেন স্লো বাঁ-হাতি অর্থোডক্স সালেহ আহমেদ সাওনের ওপর।
৪৫তম ওভারের ৪র্থ বল করলেন শাওন। স্মিথ খেললেন পয়েন্ট অঞ্চল দিয়ে। বিদ্যুৎ গতিতে চলে যাচ্ছিল বল। তার চেয়েও বিদ্যুৎ গতিতে বাম দিকে শূন্যে ঝাঁপ দিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ এবং বাম হাতেই তালুবন্দী করে নিলেন স্মিথের ক্যাচটা।
মিরাজের অসাধারণ এই ক্যাচটাই শেষ মূহূর্তে ম্যাচের রঙ বদলে দিয়েছিল। স্মিথের আউটের মাধ্যমেই নিশ্চিত হয়ে যা বাংলাদেশের যুবাদের জয়। শেষ পর্যন্ত ৪৩ রানে জয়ের মধ্য দিয়ে যুব বিশ্বকাপে শুভ সূচনা করলো বাংলাদেশের অনুর্ধ্ব-১৯ দল।
আইএইচএস/এমএস