ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

সিকান্দার রাজাকে ফেরালেন সাকিব

প্রকাশিত: ১০:৩১ এএম, ২২ জানুয়ারি ২০১৬

মাশরাফি-রনির আঘাতে ৮৪ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারালেও ম্যালকম ওয়ালার আর হ্যামিল্টন মাসাকাদজার প্রতিরোধে জিম্বাবুয়ে বড় ইনিংসেরই সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলে। তবে, বিপজ্জনক হয়ে ওঠা এই জুটিতে ভাঙন ধরালেন তাসকিন আহমেদ। দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে তিনি ফেরালেন ম্যালকম ওয়ালারকে।

শুরুতেই আঘাতটা হেনেছিলেন মাশরাফি। প্রথম ওভারেই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ভুসি সিবান্দাকে। এরপরই অবশ্য দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় জিম্বাবুয়ে। ৮০ রানের জুটি গড়েন মাসাকাদজা আর মুতুম্বামি। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা এই জুটিটাকে ফেরান আবু হায়দার রনি। সফরকারী দলের ব্যাটসম্যান মাতুম্বামিকে সরাসরি বোল্ড করে সাজঘরের পথ দেখান এই তরুণ।

১৭তম ওভারে এসে আবারও জিম্বাবুয়ে শিবিরে আঘাত। এবার অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসানের হাতেই উইকেট বিলিয়ে দিলেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যান সিকান্দার রাজা। ৬ বলে ২ রান করে ফেরেন তিনি।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সফরকারীদের সংগ্রহ ১৮ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ১৬৮ রান। উইকেটে রয়েছেন এলটন চিগুম্বুরা ৩ এবং মাসাকাদজা ৮৪ রানে। ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করছে গাজী টিভি ও স্টার স্পোর্টস-৪।  

এর আগে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে চার ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই সিবান্দাকে সাজঘরে ফেরান টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি। ব্যক্তিগত ৪ রান করে সাব্বিরের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান সফরকারী দলের এই ব্যাটসম্যান।

তবে এরপর টাইগার বোলাদের উপর চড়াও হতে থাকে দুই ব্যাটসম্যান মাসাকাদজা ও মাতুম্বামি। নির্ধারিত পাওয়ার প্লের ৬ ওভারেই তুলে নেন ৬২ রান। মাসাকাদজা ৪৮ রান নিয়ে ব্যাট করছে।

এদিকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচ জিতে দারুণ ফুরফুরে মেজাজে ছিল বাংলাদেশ; কিন্তু তৃতীয় ম্যাচ হেরে হঠাৎই ব্যাকফুটে চলে যায় টাইগাররা। হারের জন্য যত না সমালোচনা শুনতে হয়েছে, তার চেয়ে বেশি হয়েছে দল নিয়ে অতিরিক্ত কাঁটাছেঁড়া করতে গিয়ে।

সিরিজ জিততে জয়ের বিকল্প নেই মাশরাফিদের। আর তৃতীয় ম্যাচে দারুণ জয় তুলে নিয়ে স্বস্তিতে রয়েছে জিম্বাবুয়ে। শেষ ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা আনতে চাচ্ছে তারাও।

বাংলাদেশ দল:
তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, সাকিব আল হাসান, ইমরুল কায়েস, কাজী নুরুল হাসান, মাশরাফি বিন মুর্তজা, আরাফাত সানি, তাসকিন আহমেদ, আবু হায়দার রনি।

আইএইচএস/এমএস